Apbn web side collected :সরকারের নয়, জনগণের কষ্টার্জিত টাকায় পুলিশের বেতন রেশন হয় আজকাল এমন কথা শুনতে শুনতে কান জ্বালাপালা। যবে থেকে পুলিশের পোশাক গায়ে জড়িয়েছি ঠিক তখন থেকেই মানুষ নামক মান্যবরদের মুখ থেকে শুনে এসেছি। চাকুরীর শুরুতে ভাবতে গেলেই ভীষণ লজ্জা হতো। দেশের শান্তি প্রিয় গরীর মানুষ গুলো কত কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দুপয়সা রোজগার করে তাও আবার জগতের অপ্রিয় পুলিশের জন্য ! গৌরবের পোশাক পড়ে হামাগুড়ি দেওয়ার আগেই কোন পুলিশের বিবেকে ধাক্কা লেগেছে কিনা আমার জানা নেই। যখনই পুলিশ তার দায়িত্ব পালনে কোন ভুল করেছে কিংবা কোন পুলিশের অপরাধের অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে,তখনি ঐ ব্যাক্তির দায় এসেছে পুরো পুলিশ বাহিনীর ঘাড়ে। তাদের বিবেচনায় অপরাধী ঐ ব্যাক্তি নয়,অপরাধী পুরো পুলিশ বাহিনী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক,টিভি মিডিয়া,সুশীল সমাজ,আইনজ্ঞ,বিশেষ বিষয় বিশেষজ্ঞসহ সাধারণ মানুষ কেউই পুলিশকে ছেড়ে কথা বলেনি। পারে না তো দেড় লক্ষ পুলিশের গায়ের পোশাক খুলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সবার মুখে সেই পুরোনো বুলি,যে পুলিশের বেতন রেশন থাকা খাওয়া জনগণের ট্যক্সের টাকায় হয়,সে পুলিশের এত্তো বাহাদুরি কিসের ?
আমি একটি পুরনো বিষয় নতুন করে জেনে বিস্মিত হলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের পিছনে সরকারের ভূর্তুকী নাকি বছরে এক লক্ষ এক হাজার দুইশত আট টাকা সত্তর পয়সা।তবে এবার শুনুন মন্টুমিয়া,,যে সরকার আপনাকে এত টাকা লোকসান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ায়, তার ক্ষতিপূরণ আপনি কিভাবে দিবেন ? পড়াশুনা শেষ করে আমলা কিংবা আমার মত কামলা হতে পারলে তো ভাল কথা,সেবা করে না হয় দেশ উদ্ধার করবেন ! আবার সরকারের আমলাই বা হতে কতজন ! কিন্তু যদি আমলাও না হতে পারেন,তাহলে মৃত্যুর আগেও তো আপনি সরকারের এই ঋন নিয়েই কবরে যাবেন। আপনার মত সরকারের ভুর্তুকী দিয়ে বেঁচে আছে সরকারেরই কত শত প্রতিষ্ঠান। মহাশয়, রেল বিমানের মত জন গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানের কথা না হয় বাদই দিলাম। আপনি জেনে অবাক হবেন অনেক গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লোকজনদের সরকার নিজের গচ্ছিত তহবিল ভেংগে ভেংগে খাওয়াচ্ছেন।
দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণের জানা উচিত পুলিশ সরকারের অলাভজনক সংস্থা নয়। বিভিন্ন খাতে পুলিশ প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে সরকারের অর্থনৈতিক গতিকে আরও ত্বরান্বিত করছে। কথার কথায় পুলিশের বেতন রেশন জনগণের ট্যাক্স ভ্যাটের টাকায় চলে খুব ভাল কথা। পুলিশ তো আর বসে বসে সরকারের অন্ন ধ্বংশ করছে না। জনগণের জান মালের পাহাড়া দিয়েই খাচ্ছে,তাইনা ?
আধুনিক পুলিশ সমাজে সকল প্রকার অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার। নারী শিশু তথা রাষ্ট্রের সন্মানিত সিটিজেনদের সন্মান রক্ষায় পুলিশ জীবন বাজি রেখে নিরলসভাবে কাজ করছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধকারী বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য তার নিজের ব্যাক্তিগত সন্মান ও পুলিশ বাহিনীর সন্মান রক্ষার্থে আজ সংকল্পবদ্ধ । তাই কথায় কথায় পুলিশ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলে এমন সত্যি কথাটি বিশেষ জোর দিয়ে বলার আগে নিজেদের ঝুলিতেও একটু হাত দিয়ে দেখুন,,,,,
এপিবিএন ট্রেনিং পেজ
