সোনাদিঘির সৌন্দর্য্য বর্ধন কাজ পরিদর্শনে রাসিক মেয়র ও এমপি।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদিঘি নতুন রূপ পেতে যাচ্ছে। একই সাথে সোনাদিঘি ফিরে পাচ্ছে তার হারানোর ঐতিহ্য। সোনাদিঘিপাড়ে বহুতল ভবন সিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। একই সাথে সোনাদিঘিকে ঢেলে সাজানোর কাজও চলছে সমানতালে।

শনিবার দুপুরে সিটি সেন্টারের নির্মাণ ও সোনাদিঘিকে সাজানোর কাজ পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। এ সময় দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেন মেয়র।

পরিদর্শনকালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিজামুল আযিম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, মাননীয় মেয়রের একান্ত সচিব মো. আলমগীর কবির, প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এক সময় সোনাদীঘি ছিল অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র। সোনাদীঘির চারপাশ উন্মুক্ত ছিল। এর পানি এতটাই স্বচ্ছ ছিল যে তা দিয়ে এলাকাবাসীর রান্নার কাজও চলত। ১৯৮০-৮১ সালের দিক থেকে সোনাদীঘির চারপাশে স্থাপনা নির্মাণ শুরু হয়। ঢাকা পড়ে সোনাদীঘির মুখ। রাস্তা থেকে আর সোনাদীঘি দেখা যেত না তখন। সোনাদীঘির হারানোর ঐতিহ্য ফিরে আনতে ২০০৯ সালে প্রথম মেয়াদে উদ্যোগ নেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) এর আওতায় ‘এনা প্রপার্টিজ’ নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে ১৬ তলাবিশিষ্ট ‘সিটি সেন্টার’ নির্মাণ ও সোনাদীঘিকে সাজানোর চুক্তি করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রথম মেয়াদের সময়কালে (২০০৮-১৩) এর নির্মাণকাজ এগোলেও পরবর্তী ৫ বছর কাজ বন্ধ হয়ে থাকে।

২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর সিটি সেন্টার ও সোনাদীঘিকে সাজানোর কাজে গতি ফেরান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা, মসজিদ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সোনাদীঘিকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। বৈধ ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারে পুর্নবাসন করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ ও সাজানো শেষে সিটি সেন্টার হবে অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র আর সোনাদীঘি হবে দৃষ্টিনন্দন বিনোদনকেন্দ্র।

দিঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হবে পায়ে হাঁটার পথসহ মসজিদ, এমফি থিয়েটার (উন্মুক্ত মঞ্চ) ও তথ্যপ্রযুক্তি পাঠাগার। দীঘির চারপার্শে পর্যাপ্ত বসার জায়গা রাখা হবে। রাতে আলোকায়ন করা হবে। থাকবে ফোয়ারা। দিঘীকে সংস্কার করে স্বচ্ছ পানির ব্যবস্থা করা হবে। কাজ শেষে সোনাদিঘী ফিরে পাবে তার ঐতিহ্য ও নিজস্ব স্বকীয়তা।

Next Post

রাজশাহীতে সমাজসেবা দিবস পালন।

শনি জানু. ২ , ২০২১
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ “ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে, সেবা ও সুযোগ প্রান্তজনে” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নানা আয়োজনে সমাজসেবা দিবস পালিত হয়। জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে সামনে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links