এ ব্যাপারে রাতেই নিহতের বাবা পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ট্রাকচালক সুমন সরকার গাবতলী উপজেলার কৃষ্ণচন্দ্রপুর বাঙালপাড়া গ্রামের সিরাজুল হক সরকারের ছেলে। গত ৯ জুন রাত ৯টার দিকে তিনি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এর পর আর বাড়ি ফিরে আসেননি।
অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ১০ জুন গাবতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে প্রতিবেশী সাজু মিয়ার ল্যাট্রিনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। পরে ট্যাংকের স্লাব সরালে ভেতরে সুমন সরকারের লাশ দেখতে পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে গাবতলী থানা পুলিশ সন্ধ্যার দিকে লাশটি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
গাবতলী থানার ওসি সেলিম হোসেন জানান, ট্রাকচালক সুমনকে হত্যার পর লাশ গুম করতে ল্যাট্রিনের সেপটিক ট্যাংকে রাখা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে কয়েকজন অজ্ঞাতের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার ও হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি।