দেশে ভারতের সৈন্য সাদা পোশাকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, ডা. জাফরুল্লাহ ।

আভা ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নূরুল হক নূরকে মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, নুর অন্যায় করলে তার বিচার করুন। তাই বলে হয়রানি করা যাবে না। তাকে ঘর থেকে বের হতে দেবেন না, এটা হয় না।

বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের গ্রেফতার ও হয়রানি এবং সাবেব ভিপি নূরুল হক নূরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমি খুব বেদনায় আছি যে, আমাদের ভিপি নূর, সে যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে তার বিচার হবে। তাই বলে হয়রানি করা যাবে না। তাকে আপনি বের হতে দেবেন না, এটা হয় না। জনগণকে বের হতে দিচ্ছেন না এজন্য দেশে নৈরাজ্য চলছে।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নূরকে তার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিন। হয়রানি বন্ধ করেন। যে হয়রানি আমার ওপরও বিদ্যমান রয়েছে। এখনও আমার মামলা চলছে, আমি মাছ চুরি করেছি! কয়টা মাছ খেতে পারি আমি? সুতরাং প্রধানমন্ত্রী এই জিনিসগুলো বন্ধ করুন। এসব বন্ধ না করলে দেশের জন্য তা হবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে তিনি বলেন, এ আইনও হচ্ছে বিনা বিচারে শাস্তি দেয়ার শামিল। রাজনীতিবিদদের সহনশীল হতে হবে। ক্রিটিসিজম (সমালোচনা) সহ্য না করতে পারলে তো রাজনীতিবিদ হওয়া যাবে না।

ডা. জাফরুল্লাহ প্রশ্ন রেখে বলেন, দুর্নীতি কোথায় নেই? শিক্ষা বিভাগের ডিজি (মহাপরিচালক) সাহেবও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, একটা ড্রাইভারও অভিযুক্ত। অপরদিকে, শিক্ষিত মানুষ, উপাচার্য মহোদয়, ওনার চাকরি হলো রংপুরে থাকেন ঢাকায়। এটা কি দুর্নীতি না? কেন তাদেরকে ঢাকায় থাকতে হবে? এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে আমাদের সামনে দুর্দিন আসছে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার কিসের ভয়? ঘরের মধ্যে বন্দি থাইকেন না। খালেদা জিয়া অন্যায় করেছে, টাকার হিসাব দেয়নি, তাকে জেলে দিয়েছেন ঠিক আছে। উনি এক জেলে আছেন, আপনি আরেক জেলে আছেন। তাহলে দেশটা চালাবে কে? আজকে আমাদের রাস্তায় নেমে উন্মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে হবে। উন্মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে না পারলে মস্তিষ্ক কাজ করবে না।

এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, আমরা স্বাধীনতা এনেছি কারও গোলামী করার জন্য না। এটা বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন। তাই তিনি ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেই বলেছিলেন, ভারতের সৈন্য হটাও। কিন্তু এখন ভারতীয় সৈন্যের পোশাক পরা লোক নেই, কিন্তু সাদা কাপড়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশের মৃত্যু, রাজনীতিবিদদের মৃত্যু আমাদের চিন্তা চেতনার মৃত্যু ঘটাচ্ছে। সূত্রঃ যুগান্তর

Next Post

চীনে ৩৮০টি উইঘুর বন্দিশিবির আছে দাবি অস্ট্রেলিয়ার ।

বৃহস্পতি সেপ্টে. ২৪ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ চীনের শিনজিয়াং প্রদেশেই ৩৮০টি উইঘুর বন্দিশিবির রয়েছে বলে দাবি করছে অস্ট্রেলিয়া।যা আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউটের (এসপিআই) এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করে। খবর আল জাজিরার। উইঘুর মুসলিমদের আটকে রাখার বিষয়টি স্বীকার করলেও চীনের দাবি, ইসলামি কট্টরবাদ মোকাবেলার অংশ হিসেবে তুর্কি ভাষায় কথা […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links