দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও ইতিহাস জানার সুযোগ পারে, প্রধানমন্ত্রী ।

আভা ডেস্কঃ  শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের ব্রেইল সংস্করণ প্রকাশ করায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও ইতিহাস জানার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এতে প্রমাণিত হলো—দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীও আমাদের একজন।

বুধবার (৭ অক্টোবর) সকালে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ব্রেইল সংস্করণের উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বইটির উন্মোচন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি প্রকাশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন তিনি।

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ব্রেইল সংস্করণ প্রকাশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা প্রকাশ করা বেশ কঠিন কাজ ছিল। আমি মনে করি, বিভিন্ন লাইব্রেরিতে যদি এটা রাখা যায়, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও তা সংগ্রহ করতে পারবে। কারণ, কারও পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে এগুলো সংগ্রহ করে পড়া খুব কঠিন। কিন্তু লাইব্রেরিতে থাকলে তাদের পড়ার একটা সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি সত্যি খুব আনন্দিত যে, আপনারা মহৎ একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। মুজিববর্ষে এটাই আমাদের অঙ্গীকার, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই প্রকাশ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় আমি যখন বেঁচে যাই, তার পরপর আমাকে এই খাতাগুলো এসে একজন দেয়, সে আমার ফুপাতো ভাই মারুফ। ওর কাছে খাতাগুলো ছিল। অথচ, আমি বারবার ওর বাসায় গেছি, অনেকবার খোঁজ করেছি, কিন্তু সেটা কখনো বের করেনি। কী মনে করে সেদিন আমার হাতে দিয়ে গেল।

‘বইটি কিন্তু ইতোমধ্যে প্রায় ১৪টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। আরও কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করার জন্য আমাদের কাছে অনুমতি চেয়েছে। সারা বিশ্বে যারাই এটা পড়েছে, তাদের কাছে এটা অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, এমনকি আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল। এই বই প্রকাশের পর অন্তত সেই ইতিহাস বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা পাই।

তিনি বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে আমি ইন্টেলিজেন্স ব্র্যাঞ্চের রিপোর্টগুলো প্রকাশ করি। ইতোমধ্যে সেগুলোর ছয় খণ্ড ছাপা হয়েছে। আরও ৭/৮ খণ্ড আমাদের কাছে আছে। আমি দেখে দিলে ছাপা হবে। এর মধ্যে দিয়ে কিন্তু সংগ্রামের ইতিহাস, বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ইতিহাসটা বের হয়ে আসবে। এছাড়া, আমরা কীভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেটা ধীরে ধীরে প্রকাশ পাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার লেখা কারাগারের রোজনামচা, এই নামটা শেখ রেহানার দেওয়া। এটা ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দেওয়ার পর বঙ্গবন্ধুকে যখন গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়, সে সময় তিনি এই ডায়েরিটা লিখেন। আর ‘আমার দেখা নয়া চীন’—এটা হচ্ছে, তিনি চীন ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন ১৯৫২ সালে, শান্তি সম্মেলনে; তার ওপর লেখা।

Next Post

ধর্ষণকারীর ফাঁসি হওয়া উচিত

বুধ অক্টো. ৭ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ‘আমি মনে করি, কেউ ধর্ষণকারী হিসেবে প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার ফাঁসি হওয়া উচিত।’ বুধবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে ইউনিসেফের ‘এন্ডিং চাইল্ড ম্যারেজ: আ প্রোফাইল অব প্রোগ্রেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনের ভার্চুয়াল প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ষণের […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links