আভা ডেস্কঃ ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ‘আমি মনে করি, কেউ ধর্ষণকারী হিসেবে প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার ফাঁসি হওয়া উচিত।’
বুধবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে ইউনিসেফের ‘এন্ডিং চাইল্ড ম্যারেজ: আ প্রোফাইল অব প্রোগ্রেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনের ভার্চুয়াল প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ষণের প্রতিবাদে যারা রাস্তায় নেমেছে, আমি তাদের স্বাগত জানাই। ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য তারা আন্দোলন করছে। কিন্তু এই আন্দোলনের পেছনে যাতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য না থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নারী। আমি নারীদের উদ্দেশে বলব, ধর্ষক ধর্ষকই। তার কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক পরিচয় নেই। যে ধর্ষক সে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো মায়ের সন্তান। আমি সেই মায়ের প্রতি আহ্বান জানাব, আপনি এই ধর্ষক ছেলেকে বর্জন করুন। নিশ্চয়ই ধর্ষণকারী কারো না কারো পিতা। আমি সন্তানদেরকে বলব, যাতে তারা ধর্ষণকারী বাবাকে বর্জন করে। ধর্ষণকারী নিশ্চয়ই আপনাদের-আমাদের কারো না কারো ভাই, সেই ধর্ষণকারী ভাইকে যাতে আমরা বর্জন করি। আমি সমাজের প্রতি আহ্বান জানাব, সমাজ যাতে এই ধর্ষণকারীদের প্রত্যাখ্যান করে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আমি আহ্বান জানাব, ধর্ষণকারীদের যাতে তারা বহিষ্কার করে।’
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘ধর্ষণের ক্ষেত্রে অসুস্থ মানসিকতা কাজ করে। সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা নির্যাতন বন্ধ করতে পারব। সবচেয়ে বড় দায়িত্ব মা-বাবার। সন্তানরা কোথায় যায়, কী করে, কার সাথে চলাফেরা করে, সেসব তাদের জানতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী এ সময় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, নারী ও শিশুর উন্নয়ন এবং সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
সচিবালয়ে ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম সচিব মো মুহিবুজ্জামান ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন।
ইউনিসেফ আয়োজিত ওই ভার্চুয়াল প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যুক্তরাস্ট্র থেকে ইউনিসেফের সিনিয়র অ্যাডভাইজার ক্লডিয়া কাপ্পা। বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ ভেরা মেনডোস্কা ওআইসি।