দূর্গাপুরে থামছে না অবৈধ পুকুর খনন

আভা ডেস্কঃ দুর্গাপুর উপজেলায় কিছুতেই থামছে না পুকুর খনন। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জেল জরিমানার পরও চলছে কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধ পুকুর খনন। কিন্তুু প্রশাসন নিরব রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

উপজেলার কয়ামাজমপুর গ্রামের বিলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমি দখল করে পুকুর খনন করছেন জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা। ফলে ওই এলাকায় কয়েকশ বিঘা আবাদি জমি ও বাড়িঘরে জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে বলে আশ্ষ্কা এলাকাবাসীর।

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, উপজেলার কিসমত গণকৈড় ইউনিয়নের কয়ামাজমপুর বিলে কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের আবাদ করে থাকেন। জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্না সাধারণ সম্পাদক নাসিম মোফাজ্জল কয়েক দিন আগ থেকে ২৫ থেকে ৩০ বিঘা ফসলি জমিতে দিন ও রাতে পুকুর খননকারী যন্ত্র এস্কেভেটর নামিয়ে জমির শ্রেনি বদল করে পুকুর খনন করছেন। এ নিয়ে ওই এলাকার কৃষকরা অভিযোগ করেও তিনি এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় পুকুর খনন এখনও চলমান রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কয়ামাজপুর গ্রামের বিল ছাড়াও একাধিক স্থানে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেদারছে পুকুর খনন চলছে। রঘুনাথপুর গ্রামে উঠতি পাটখেতে নষ্ট করে পুকুর খনন করছেন সাজ্জাদ নামের এক ব্যক্তি। এছাড়াও রাতুগ্রাম, কয়ামাজমপুর, ঝিনাইয়ের মোড়, ইসবপুর বিলে ফসলি জমি নষ্ট চলছে পুকুর খনন।

অভিযোগ রয়েছে ৩৪ হাজার টাকা বিঘা হিসাবে জমির মালিকদের কাছে থেকে জমি কন্টাক নেয়া হয়। এর মধ্যে কোন জমির মালিক কন্টাকে স্বাক্ষর করেছে আর কিছু জমির মালিক কন্টাকে স্বাক্ষর না করলেও জোর করে তাদের জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। এ ছাড়া জমির মালিকদের সাথে ৩৪ হাজার টাকা বিঘা প্রতি বছরে দেয়ার কথা থাকলেও ৩০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে জোর করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতো কিছুর পরেও প্রশাসন ও থানা পুলিশকে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাইনি ওই গ্রামের কোন কৃষক।

উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে ম্যনেজ করেই দিনে ও রাতে এসব পুকুর খনন করছে কয়ামাজমপুর গ্রামে বলে অভিযোগ করেন সাবেক ইউপি সদস্য আজম আলী।

তিনি বলেন, কয়ামাজমপুর গ্রামে মঙ্গলপুর বিলে কৃষকের পাট ক্ষেত নষ্ট করে জোর পূর্বক রাতে পুকুর খনন করা হয়। এ বিষয় উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি।

পুকুর খননকারী সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাসিম মোফাজ্জল বলেন, পুকুর খনন প্রায় শেষ। কারোর কোন অভিযোগ নেই। গাড়ি উঠে গেছে। এখন কে বা কারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। পুকুর খনন হয়ে গেলে অভিযোগ করে এখন কী লাভ?।

দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নয়ন হাসান বলেন, পুকুর খনন নিয়ে প্রশাসন সজাগ রয়েছে। আপনারা (সাংবাদিকেরা) দেখেছেন, গত কয়েক দিনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে অনেকের জেল জরিমানাও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানার ব্যবহৃত ফোন নম্বরে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিপ না করায় তাঁর বক্তব্যে পাওয়া যায় নি।

Next Post

রাজশাহীতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন

রবি জুন ২৬ , ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ “মাদক সেবন রোধ করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে  রাজশাহীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২২ পালন করা হয়েছে। ২৬ জুন সকাল সাড়ে ৯ টার সময় ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ এনডিসি। এরপর আন্তর্জাতিক উক্ত দিবস […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links