দূর্গাপুর থেকে সোহানঃ দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী আঃ রাজ্জাক (৫৫) ও শ্যামল (২০) এর বিরুদ্ধে মারপিট ও অশ্লীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রেজাউল করিম (২৫) বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী গ্রামের আবু কালামের ছেলে রেজাউল করিম (২৫) ও তার স্ত্রী মাছুরা খাতুন (২০) এবং তার মা রেবেকা সুলতানা গতকাল (মুঙ্গলবার) আনুমানিক রাত্রি ০৯.০০ ঘটিকার সময়, দুর্গাপুর থানা হইতে বাড়ি যাবার পথিমধ্যে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগমের বাড়ির সামনে পৌঁছা মাত্রই পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া বলদের ছেলে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগমের স্বামী আঃ রাজ্জাক (৫৫), খলিলুর রহমানের ছেলে শ্যামল হোসেন সহ আরোও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ তাদেরকে পথ রোধ করে ঘিরে ধরে। এক পর্যায়ে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আঃ রাজ্জাকের হুকুমে সকল আসামিগন বাদীকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া ছেলাফোলা জখম করে।
শ্যামল আমার গোলা চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করিয়া হত্যা করার চেষ্টা করে। এ সময় রেজাউল করিম (২৫) এর স্ত্রী মাছুরা খাতুন (সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা) ও তার মা রেবেকা সুলতানা আগাইয়া আসিলে আসামিগন এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া ছেলাফলা বেদনাদায়ক জখম করে। এই সময় আঃ রাজ্জাকের হাতে থাকা চাদর দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করেন।
আসামি শ্যামল হোসেন আমার স্ত্রীর পরনের কাপড় টানা হেসরা করে বিবস্ত্র করিয়া অশ্লীলতাহানী ঘটায়। এ সময় রেজাউল করিমের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে,আসামিগন জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। আমার এবং আমার স্ত্রীর অবস্থা আসংখা জনক হলে স্হানীয় লোকজন আমাকে ও আমার স্ত্রীকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনা ঘটার সাথে সাথে দুর্গাপুর থানার (ওসি) কে মোবাইল ফোনে ঘটনার বিষয় জানালে তিনি সাথে সাথে ঘটনা স্থলে যেয়ে পরিস্থিতি শিথিল করেন। এবং আসামিদের হাতে নাতে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসমত আলীর সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, রেজাউল করিমকে মারপিট করায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রহিয়াছে।