আভা ডেস্কঃ ১৫ ই আগষ্ট মহান স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহী সদর দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকে গরীব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন সভাপতি আলহাজ্বঃ মোঃ মইদুল হক।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকঃ আলহাজ্ব মোঃ নাহিদ আক্তার নাহান।
খাবার বিতরণ কালে নাহান বলেন, শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতির জন্য একটি কালো অধ্যায়। এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না থাকলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। যারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারে নি, তারাই ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিলো। সেদিন তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়েছিলো না, সেদিন তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিন সন্তান শেখ জামাল, শেখ কামাল, শেখ রাসেলকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিলো। তাঁদেরকে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিলো বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী যেন সৃষ্টি না হয়। সেদিন তারা হত্যা করেছিলো বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে, তৎকালিন যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনিকে, যেন সে যুব সমাজকে সুসংগঠিত করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রচার করতে না পারে। সেদিন তারা হত্যা করেছিলো তৎকালিন কৃষক নেতা আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে, যিনি কৃষকদের দুঃখ দুর্দশা নিয়ে চিন্তা করতেন এবং কৃষকদের সুসংগঠিত করে কৃষি বিপ্লবের দাড় উন্মোচন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে জাতিকে নেতৃত্ব শূণ্য করেছিলো। কিন্তু তাঁর দুই কন্যা সন্তান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় তাঁরা বেঁচে যায়। আজ দেশরত্ন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
রাজশাহী সদর দলিল লেখক সমিতি সভাপতি মইদুল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিলো বলেই বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃজন হয়েছিলো। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা মেনে নিতে পারেন নি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিলো। তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় তাঁরা বেঁচে যায়। আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাঁর পিতার স্বপ্নে দেশ গড়তে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।