আভা ডেস্ক : চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার দুবাই প্রবাসী আবুল হাশেমকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খুন করে স্ত্রী রুনা আকতার ও তার কথিত প্রেমিক মো. জাহেদ। দুবাই প্রবাসী স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে জাহেদকে স্বামী হিসেবে পেতে এ কাজ করে রুনা। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে খুনের দায় স্বীকার করেন স্ত্রী রুনা আকতার ও তার কথিত প্রেমিক জাহেদ। হাশেম ও রুনা দম্পতির সংসারে মো. মাহিম (১০) ও রাকিব (৬) নামে দুই ছেলে আছে। মাহিম স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। এ হত্যার দায়ে কারাগারে আছে মা রুনা আকতার। মা-বাবাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে দুই অবুঝ শিশু। তাদের দেখাশুনা করার মতো কেউ নেই। গত ১০ আগস্ট রাতে নিজের ঘরে খুন হন উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ইয়াছিননগরের আলী আহমেদের ছেলে আবুল হাশেম।
নিহতের বড় ভাই আবুল কাশেম বলেন, ১০ আগস্ট রাতে আমার ছোট ভাই আবুল হাশেম মারা যাওয়ার খবর পাই। প্রথমে মনে করেছিলাম আমার ভাইয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তাই দাফন কাফনের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। গোসল দেয়ার সময় লোকজন লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ করেন। তারা বলেন, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাকে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। নিহতের স্ত্রী রুনা আকতার ও তার কথিত প্রেমিক ইয়াছিননগর এলাকার ফজল বারীর ছেলে জাহেদকে আসামি করে রাউজান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
রাউজান থানার এসআই ও মামলার বাদী সাইমুল যুগান্তরকে বলেন, নিহতের স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিক জাহেদকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেয়। জবানবন্দিতে রুনা আকতার বলেছে, রাতে ভাত খাওয়ার পর স্বামী আবুল হাশেমকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। আবুল হাশেম ঘুমিয়ে পড়লে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জাহেদ তাদের বাসায় যায়। এরপর দু’জন মিলে রুনার পরনের ওড়না আবুল হাশেমের গলায় পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। আবুল হাশেম যাতে চিৎকার করতে না পারে এজন্য তার মুখ চেপে ধরে রাখে তারা। এসআই সাইমুল বলেন, এ মামলার ক্লু উদঘাটন হয়েছে। শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হবে। যুগান্তর