নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, দেশের ৯৯ভাগ মানুষকে এই সরকার অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে ফেলেছে। দেশ এখন তলাবিহিন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা আসা বন্ধ হয়ে গেছে। দেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানী অর্ধেকের থেকেও কমে এসেছে। এর কারন হচ্ছে দেশে এখন কোন প্রকার গণতন্ত্র নাই। ২০১৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর রাত্রে এবং ৩০ তারিখ দিনব্যাপি ভোট ডাকাতী করে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এর কারনে বহিরবিশ্ব বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
আজ সোমবার দুপুরে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে রাজশাহীতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ব্যাংকে এখন কোন রিজার্ভ নাই। অর্থ সংকটের কারনে ব্যবসা বাণিজ্যের চরম ক্ষতি হচ্ছে। দেশের সব টাকা বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর পরিবারে চলে গেছে। দেশটাকে একটা পরিবারতন্ত্রে পরিণত করছে এই সরকার।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া কোন দুর্নীতি না করলেও এখন মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। মারাত্বক অসুস্থ হলেও সরকার তাঁকে জামিন দিচ্ছেনা। এখন এই অবৈধ সরকারের নিকট আর বেগম খালেদা জিয়ার জণ্য কোন প্রকার জামিনের আবেদন বা মুক্তির দাবী করা হবেনা। এখন রাস্তায় নেমে আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে বলে জানান মিনু।
সেইসাথে আসছে আগামী ২৬ মার্চ ৩০হাজার উপরে নেতাকর্মী নিয়ে রাস্তায় র্যালি করা হবে। আব বাধা আসলে সেখানেই প্রতিহত করা হবে বলেও হুঁশিয়ারী দেন তিনি।
রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবস এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে এই সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, জেলা বিএনপি’র সদস্য সৈয়দ মহসিন আলী ও মোহনপুর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুস সামাদ।
মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটনের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, জেলা বিএনপি’র সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য জাহান পান্না, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, জাকিরুল ইসলাম বিকুল, সদর উদ্দিন, সাইদুর রহমান মন্টু, প্রফেসর ইউনুস আলী, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাবেক সদস্য আব্দুল ওয়াদুদু হাসান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম খোকা, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন ও মতিহার থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান আহম্মেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি আরিফুল শেখ বনি, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, অধ্যাপিকা সখিনা বেগম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সামসাদ বেগম মিতালী, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক সামসুন নাহার, জরিনা খাতুন ও মহিলা নেত্রী রীতা, মহানগর ছাত্র দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি, নাহিন আহম্মেদ, রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ রাহী ও জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম কুসুমসহ মহানগর, থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকগণ উপস্থিত ছিলেন।