কৃষকের মঙ্গল কীসে জানি, দাবি তোলা লাগবে না: প্রধানমন্ত্রী

আভা ডেস্কঃ কৃষককে সম্মানের চোখে দেখেন জানিয়ে তাদের মঙ্গলের জন্য সব সময় সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, তার কাছে কৃষকের জন্য নতুন নতুন দাবি তোলার কোনো দরকার নেই।

করোনার দুই বছরের মতো এবারও কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ধান কেটে দিতে কৃষক লীগের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। হাওরে আগাম বন্যায় ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ার বাস্তবতায় এই আহ্বান এলেও সরকারপ্রধান হাওরের কথা উল্লেখ করেননি।

কৃষকই দেশের প্রাণশক্তি উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, তাদের কল্যাণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে সরকার।

কৃষক লীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা সভাটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কৃষকের জন্য নতুন নতুন দাবি তোলা লাগবে না। দেশের কৃষকদের জন্য কীসে মঙ্গল সেটা আমরা ভালোভাবে জানি। সেটাও আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। বাংলার কৃষকই আমাদের প্রাণ শক্তি। কারণ, মনে রাখতে হবে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষক ফসল উৎপাদন করে। সেটা খেয়ে কিন্তু সবার জীবন বাঁচে। কাজেই সেই কৃষক আমাদের কাছে অনেক সম্মানের।’

সার পেতে কৃষকের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য ‘সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা ২০০৯’ করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘কৃষকের ঘরে সার পৌঁছৈ যাবে। কৃষক সারের পেছনে দৌড়াবে না। সার কৃষকের ঘরে পৌঁছে যাবে। যে ঘোষণাটা আমরা দিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।’

সারের দাম চার দফা কমানো হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘প্রতি কেজি ইউরিয়া ১৬ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা এবং এমওপি ১৫ টাকা করা হয়েছে, সেটা অব্যাহত রেখেছি।

‘আজ বিশ্বে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, চা উৎপাদনে চতুর্থ এবং আলু ও আম উৎপাদনে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে।’

কৃষিতে সাফল্যের পর পুষ্টি নিশ্চয়তার ওপর সরকার জোর দিয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘তার জন্য আমিষ জাতীয় খাদ্য বা সবজি, ফল-মূল উৎপাদনে এবং আমরা গবেষণায় অনেক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি।’

শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুফল কৃষকরাও পাচ্ছেন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘কৃষক শুধু ফসল উৎপাদন করবে না, তার ন্যায্য মূল্যটা যেন সে পায়- তার ব্যবস্থাটাও কিন্তু আমরা করে দিয়েছি।’

করোনা টিকায় পানির মতো টাকা খরচ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা যোগাড়ে পানির মতো টাকা খরচ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘তবুও দেশের মানুষের সুরক্ষায় বিনা মূল্যে এই টিকা দেয়া হচ্ছে।’

টিকার টাকার সংস্থান করতে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প ধীর গতি করে করে দেয়ার কথাও জানান শেখ হাসিনা।

শতভাগ মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজ আমরা প্রায় ৯৭ ভাগ দিয়ে ফেলেছি। বুস্টার ডোজও আমরা চালু করে দিয়েছি।’

Next Post

রাজশাহীতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার

বুধ এপ্রিল ২০ , ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের  মাঝে প্রধানমন্ত্রীর  ঈদ উপহার হিসেবে ঈদের পোশাক বিতরণ করেছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ রাজশাহী শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমির আয়োজনে শিশু একাডেমির প্রাক-প্রাথমিক ও শিশু বিকাশ কেন্দ্র রাজশাহীর ২২০ শিশুর মাঝে এ উপহার বিতরণ করা […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links