কাটুর্নিস্ট কিশোরকে নির্যাতন করা হয়নি-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আভা ডেস্কঃ কাটুর্নিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ১০ মাস বন্দি দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পরদিন শুক্রবার চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি মুক্তি পাওয়ার পর তার কান দিয়ে পুঁজ পড়ছিল এবং শরীরে নির্যাতনের চিকিৎসা হয়নি। সেজন্য তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ মাস বন্দি থেকে বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়ে আহমেদ কবির কিশোর দেশের প্রথম সারির দুটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তাকে আটকে সময় নির্যাতন করার অভিযোগ তুলেছেন।

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল  নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বিবিসিকে বলেছেন, ‘কারাগারে কোন নির্যাতন হয়নি এবং অন্য কোথাও হয়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

শুক্রবার (০৫ মার্চ) দেশের দুটি দৈনিকে উঠে এসেছে আটকের পর কিশোরের ওপর নির্যাতনের ভয়াবহ খবর। সেখানে কিশোর বলেছেন, গত বছরের ২ মে তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়েছিল ১৬/১৭ জনের একটি দল। ৬৯ ঘণ্টা তাকে কোথায় রাখা হয়েছিল, তা তিনি বলতে পারেননি। সে সময় একটি স্যাঁতসেঁতে ঘরে আটকে রেখে চড় দিয়ে কান ফাটিয়ে দেওয়াসহ তার ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেছেন।

কিন্তু মামলার এজাহারে বলা হয়, র‍্যাব তাকে গত বছরের ৫ই মে আটক করে।

কার্টুনিস্ট কিশোরের ভাই আহসান কবির বলেছেন, ‘কিশোর স্পষ্ট করে বলেছে যে, কাকরাইলের বাসা থেকে ২০২০ সালে মে মাসের দুই তারিখে ইফতারের এক ঘন্টা আগে তাকে তুলে নেয়া হয়েছিল। তাকে রমনা থানায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল ৬ই মে ২০২০। এই গ্রেপ্তার দেখানোর আগে কোথায় ছিল, তা কিশোর ট্রেস করতে পারেনি। তাকে যে টর্চার বা নির্যাতন করা হয়েছিল, এরপরে জেলে অন্তরীণ হওয়ার পরে প্রোপার ট্রিটমেন্ট সে পায়নি।

তিনি আরো জানান, “জেলে প্রপার চিকিৎসা না পাওয়ায় দশ মাসে সমস্যাগুলো বেড়েছে। সেজন্য এখন আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলখানা থেকে যখন তাকে মুক্ত করে আনি, তখনও তার কান দিয়ে পুঁজ পড়ছিল। এখন হাসপাতালে কান-চোখ এবং অর্থোপেডিক ও ডায়াবেটিক বিশেষজ্ঞরা তাকে পরীক্ষা করবেন। তারা শনিবার বা রবিবার তার শরীরের অবস্থা সম্পর্কে আমাদের জানাবেন।

নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ওনাকে কোথায় নির্যাতন করলো, আমরা জানবো কী – আটক অবস্থায় তো কোন নির্যাতন হয়নি। এখন কোথায় হয়েছে – আমি তাদের স্টেটমেন্ট…। আমাদের জেলখানায় কোন নির্যাতন কাউকে করা হয় নাই। আমরা না দেখে বলতে পারবো না।

কার্টুনিস্টকে বাসা থেকে যখন তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তারপর নির্যাতনের ভয়াবহ যে বর্ণনা তিনি দিয়েছেন এবং সংবাদমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়েছে- সেগুলো এবং তাকে কারা তুলে নিয়েছিল- এসব খতিয়ে দেখা হবে কিনা, এই প্রশ্ন করা হলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, “সেটা আমি দেখবো। আমাদের জানা মতে, আমাদের জেলখানায় তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি।” কিন্তু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নেওয়ার পরই তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, সেই অভিযোগ কিশোর করেছেন। উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “ওটা আমাকে দেখতে হবে। না দেখে আমি কিছু বলতে পারবো না।”

কিশোরের অভিযোগ প্রসঙ্গে মানবাধিকার কর্মী এলিনা খান বলেন, এ ধরনের আটক ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে অনেকেই তা প্রকাশ করতে সাহস পান না। দু-একজন তা প্রকাশ করলেও তার পর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে উল্লেখ করেন তিনি। সুত্রঃ কালের কণ্ঠ

Next Post

বাগমারায় প্রধানমন্ত্রীর গৃহায়ণ প্রকল্পের বাড়ি দেয়ার নামে টাকা আত্নসাৎ

শনি মার্চ ৬ , ২০২১
বাগমারা প্রতিনিধিঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পুর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর গৃহায়ণ প্রকল্পের বাড়ি পাইয়ে দেয়ার নামে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মির্জাপুর গ্রামে ঘটেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পুর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় গরীব মানুষকে বাড়ি দেওয়ার ঘোষনা দেন ২০১৬ সালে। […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links