এসএসসি পিছিয়ে আগস্টে

আভা ডেস্কঃ দেশে বন্যা পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি না হওয়ায় জুলাই মাসেও চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজন সম্ভব হবে না।

এ ক্ষেত্রে পরীক্ষাটি আগস্টে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আন্তশিক্ষা বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

রোববার এ তথ্য জানান আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

তিনি বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা আয়োজন সম্ভব নয়। তাই এখনই কোনো নির্দিষ্ট তারিখ আমরা বলতে চাই না, তবে ঈদের পর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ করা হবে।’

কবে নাগাদ পরীক্ষাটি আয়োজন করা হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আজকের আন্তশিক্ষা বোডের সভায় সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সবাই আশা প্রকাশ করেছে চলতি মাসে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা পরীক্ষাটি আগস্ট মাসে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, এসএসসি পেছানোর কারণে পিছিয়ে যাবে এইচএসসি পরীক্ষাও।

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল গত ১৯ জুন, কিন্তু দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় স্থগিত করা হয় এ পরীক্ষা।

এবারের পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ২ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রশ্নপত্রের এমসিকিউ অংশের জন্য ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল অংশের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট নির্ধারিত থাকবে।

এ বছর ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ডে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন, দাখিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন ও কারিগরিতে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ জন।

গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৪ জন। এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছরের চেয়ে প্রায় সোয়া দুই লাখ পরীক্ষার্থী কমেছে।

প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনার কারণে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা এখনও নেয়া সম্ভব হয়নি। গত বছর এসএসসি পরীক্ষা নেয়া গেলেও এইচএসসিতে শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেয় সরকার।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করা হয় চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস।

২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাঙ্গনগুলো আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে।

২ মার্চ শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস। টানা দুই বছর বন্ধের পর ১৫ মার্চ প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হয়।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দুই দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের দুয়ার।

Next Post

পদ্মা সেতু ইট-কাঠের স্থাপনা নয়, এটি আত্মমর্যাদা: শেখ হাসিনা

রবি জুলাই ৩ , ২০২২
আভা ডেস্কঃ দীর্ঘদিন সামরিক শাসনের যাঁতাকলে থেকে বাংলাদেশ যখন পরমুখী, আত্মবিশ্বাস যখন তলানিতে, তখনই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণায় বাঙালি ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই পদ্মা সেতু শুধু ইট-কাঠের স্থাপনা হিসেবে নয়, দেশের আত্মমর্যাদার প্রতীক হিসেবে দেখছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। পদ্মা সেতু দিয়ে আসা ১৯ জেলার যানবাহন […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links