এবারের আন্দোলন নিয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন নিয়ে বিএনপি এবার আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ওয়াসিস করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘মিট দ্য ওকাব’ সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজপথই আন্দোলনের একমাত্র পথ। এবার আন্দোলনে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী আমরা।’

আন্দোলনের পদ্ধতি কী হবে- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সময়ই বলে দেবে আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি কী হবে। আগের প্রক্ষাপট আর বর্তমান প্রেক্ষাপট এক নয়। বর্তমানে নানা ইস্যুতে এমনিতেই সরকার বেকায়দায় আছে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে জয়লাভ করব।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার দেশকে একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। যে অধিকারের জন্য ৫০ বছর আগে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি, এখন সেই অধিকারগুলো হারিয়ে ফেলেছি। আজকে আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।

‘এখন সুশীল সমাজের সদস্যরা কথা বলতে ভয় পান, বিচারকরা বিচার করতে ভয় পান, সাংবাদিকেরা লিখতে ভয় পান, মানুষ কথা বলতে ভয় পায়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। ব্যাংকিং খাতে ভয়াবহ দুর্নীতির সৃষ্টি হয়েছে। মূল্যস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনকে দুঃসহ করে তুলেছে। উন্নয়নের মিথ তৈরি করা হয়েছে, এখনও কিছু মেগা প্রজেক্ট তৈরি করা হয়েছে যেখানে মেগা দুর্নীতি চলছে।’

বিদ্যুৎ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সমস্যাগুলো সরকার তৈরি করে দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে এই সরকার। বিএনপি এ অবস্থার অবসান চায়। কর্তৃত্ববাদী সরকার ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে চাই, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই। এই গণবিরোধী অনির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’

সাংবাদিকরে প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতেই সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে চাই, সরকার এটা প্রতারণার মাধ্যমে বাতিল করেছে।

‘ব্যাকডোর (পেছনের দরজা) বলে কোনো কথা নেই, প্রকাশ্য জনসভার মাধ্যমে বলে দিয়েছি। আমরা যা কিছু করব প্রকাশ্যেই করব। পেছনের দরজা দিয়ে নয়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হতে হলে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছি, আমরা যুগপৎ আন্দোলনে যাব। সব গণতান্ত্রিক দেশের কাছে আশা করি, তাদের জায়গা থেকে ভূমিকা রাখবে।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সব দল মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি প্রমিজ রক্ষা করেননি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার যদি উদ্যোগ না নেয়, তাহলে রাজপথই একমাত্র সমাধান।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়েছে।

‘ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি লাগাম ছাড়া। সব ক্ষেত্রে দলীয়করণ করা হয়েছে। বিদ্যুতের কী অবস্থা তা তো দেখতে পারছেন। আগামীতে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে।’

আয়োজক সংগঠনটির আহ্বায়ক সাংবাদিক কাদির কল্লোলের সঞ্চলনায় এ সময় সংগঠনের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মিঠু, সিনিয়র সদস্য ফরিদ হোসেনসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Next Post

বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেল দুর্ঘটনায় শেষ

শনি জুলাই ২৩ , ২০২২
আভা ডেস্কঃ কুষ্টিয়ার হালসা রেলস্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হওয়া তেলবাহী ট্রেনের তিনটি ওয়াগন ফুটো হয়ে অন্তত ৪৫ টন ফার্নেস তেল পড়ে গেছে। এই তেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা জংশনের উদ্দেশে যাচ্ছিল। রেলের পাকশী বিভাগীয় ম্যানেজার শাহীদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। শাহীদুল বলেন, ‘খুলনা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি আজ (শনিবার) সকাল […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links