আভা ডেস্কঃ কুষ্টিয়ার হালসা রেলস্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হওয়া তেলবাহী ট্রেনের তিনটি ওয়াগন ফুটো হয়ে অন্তত ৪৫ টন ফার্নেস তেল পড়ে গেছে। এই তেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা জংশনের উদ্দেশে যাচ্ছিল।
রেলের পাকশী বিভাগীয় ম্যানেজার শাহীদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
শাহীদুল বলেন, ‘খুলনা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি আজ (শনিবার) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হালসা রেলস্টেশনের কাছে বিকল্প লাইনের ওপর থামাতে গিয়ে লোকোমাস্টার (চালক) নিয়ন্ত্রণ হারালে লাইনচ্যুত হয়। এতে ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
তিনি জানান, ট্রেনটিতে মোট ৩০টি বগি ছিল। প্রতিটি বগিতে ডাবল ইউনিট লোড ছিল। আর একেকটিতে ফার্নেস অয়েল ছিল ৪২ টন করে।
ইঞ্জিনের ঠিক পেছনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কনটেইনার ফুটো হয়ে একটির সব তেল পড়ে গেছে। অন্য দুটির কিছু তেল পড়েছে। সব মিলিয়ে ৪৫ টন তেল পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিভাগীয় ম্যানেজার বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর অক্ষত ২৭টি বগি আলমডাঙ্গা নিয়ে রাখা হয়েছে। উদ্ধারকাজ শেষে ইঞ্জিন ও বগি রেলের ওপর রাখা হবে। তারপর খালি ২টি কনটেইনার এনে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি কনটেইনারের অবশিষ্ট তেল সরিয়ে নেয়া হবে।’
শাহীদুল জানান, কালো এই ফার্নেস তেল ফসলের জন্য ক্ষতিকর। তবে এটা ফসলের মাঠে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। এটা রেল লাইনের ওপর থেকে ধীরে ধীরে মাটি শুষে নেবে।
পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ওসি মনজের আলী জানান, তিন নম্বর বিকল্প লুপ লাইনে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় মেইন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঈশ্বরদী থেকে আসা উদ্ধারকারী ট্রেন সকাল থেকেই কাজ করছে। যে ওয়াগনটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটি উদ্ধার করা গেলে দ্বিতীয় আপ লাইনে ট্রেল চলাচল শুরু করা যাবে। তবে এটি সন্ধ্যার আগে করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবেন।