আভা ডেস্কঃ ফের পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচলের সুযোগ দেয়া হবে। তবে কেউ যাতে অতিরিক্ত গতিতে চালাতে না পারে সেজন্য সেতুতে বসানো হবে স্পিড গান, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।

সেতুটিতে সর্বোচ্চ অনুমোদিত গতি ৬০ কিলোমিটার হলেও প্রথম দিনই ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বাইক চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া নানা ধরনের বিশৃঙ্খলার জন্য দুই চাকার এই বাহনটি বন্ধ করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাইক পারাপার বন্ধ থাকলেও সেটি খুব দ্রুতই খুলে দেয়ার আশা করছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনের সব দপ্তর-সংস্থার ২০২২-২৩ সালের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর ও ২০২১-২২ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা যে অনির্দিষ্টকালীন সিদ্ধান্ত তা নয়, এটা এখন বন্ধ আছে, মোটরবাইক সম্পর্কে যেটা বলা হয়েছে সেখানে এখন স্পিড গান, সিসিটিভি বসানো হবে। সেগুলো বসানোর পর হয়ত নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

পদ্মা সেতুতে সাধারণের যান চলাচল শুরুর দিনই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ২ জনের মৃত্যুর পরপরই সেতুতে দুই চাকার এ যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

পদ্মা সেতু হওয়ার পর লঞ্চে যাত্রী কমে গেছে বলে মালিকদের হতাশার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিন দিনেই হতাশা আসলে হবে না। আমরা তো আশাবাদী, ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ কেন তৈরি করছি? এটার চাহিদা আছে বলেই করছি।

‘সে জন্য আমাদের শত শত কোটি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে, আমরা তো লক্ষ্য নিয়েই আছি। আমরা তো অপরিকল্পিত দেশ পরিচালনা করছি না। অপ্রয়োজনীয় কিছু প্রধানমন্ত্রী করছেন না। আমি মনে করি লঞ্চ যাত্রা সামনে আরেও উপভোগ করবেন।’

পদ্মা সেতুর হওয়ার পরও সেই নৌপথে চলাচল করা ছয়টি ফেরি চাহিদা অনুযায়ী চলাচল করবে বলে জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ স্থাপনা পদ্মা সেতু। তার মানে এই নয়, আমাদের অন্যান্য যোগাযোগ বন্ধ হবে। গতকালও আমাদের শিমুলিয়া, মাঝিরঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল করেছে। আমাদের যেভাবে চাহিদা থাকবে সেভাবে ব্যবহার করব।

‘আমরা ফেরি বন্ধ করে দেইনি, সেখানে ৬টি ফেরি চাহিদা অনুযায়ী পারপার করছে। আমরা সময় নিচ্ছি, পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের আবেগ অনেকভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। পজিটিভ-নেগেটিভ অনেক অনুভূতি আছে।’

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘একজন নেত্রী বলেছিলেন জোড়াতালির সেতু, সেভাবে একজন বল্টু খুললে, এটা ছিল সেতুর অলংকার, কেউ সেই অলংকার ছিনতাই করার চেষ্টা করা হয়েছে। অসচেতন নেতৃত্বের কারণে এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।

‘কিছু মানুষ চোরের সরদারকে ফলো করে, সেটিই ঘটেছে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের এটি নিয়ে আবেগ আছে। এটাকে আমি নেতিবাচকভাবে দেখব না। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত ফেরি এখানে আছে থাকবে, চাহিদা অনুযায়ী চলবে।’

Next Post

রেলক্রসিং নয়, সব শহরে হবে ওভারপাস

মঙ্গল জুন ২৮ , ২০২২
আভা ডেস্কঃ রেললাইন দিয়ে চলাচলের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে আছে রেলক্রসিং, যা পরিচালনার জন্য দরকার হয় লোকবল। অনেক স্থানে লোকবল না থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা। এমন অবস্থায় সব শহরে রেলক্রসিংয়ের পরিবর্তে পর্যায়ক্রমে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links