আভা ডেস্কঃ করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ৩১ মে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে সব রুটে যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে। এর ধারাবাহিকতায় আরো ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেন।
রোববার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
এতদিন মোট ১৭ জোড়া অর্থাৎ ৩৪টি ট্রেন চলাচল করছিল বিভিন্ন রুটে। রোববার রেলের বহরে যুক্ত হলো আরো ১৩ জোড়া অর্থাৎ ২৬টি ট্রেন। সব মিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ জোড়া অর্থাৎ ৬০টি।
স্বাভাবিক সময়ে সারা দেশে প্রায় ১০০টির মতো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এ মাসের মধ্যেই বন্ধ থাকা বাকি ট্রেনগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, নতুন চালু হওয়া ট্রেনের মধ্যে আজ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পারাবত, চিত্রা, নীলসাগর ও তিস্তা এক্সপ্রেস কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে।
১২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলবে যেসব রুটে: পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা- খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড়া এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটী-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস। এছাড়া, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে জামালপুর কমিউটার ট্রেন চালানো হবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরো ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়।
আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো একসাথে অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি হবে। বিক্রিত টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। যাত্রার পাঁচ দিন আগে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে।
যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট বন্ধ থাকবে।