আভা ডেস্কঃ গণপরিবহনে আগের ভাড়ায় ফিরে যেতে সরকার চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী জানান, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ও দাঁড়ানো অবস্থায় যাত্রী পরিবহন না করার শর্তে গণপরিবহনের আগের নির্ধারিত ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকালে নিজ বাসভবন থেকে কুমিল্লা সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মত বিনিময়কালে একথা জানান তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহারিয়ার হোসেন, কুমিল্লা সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শওকত আলীসহ কুমিল্লা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বিআরটিএ ও বিআরটিসি’র কর্মকর্তাগণ যুক্ত ছিলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রী সড়ক নির্মাণে গুণগতমান নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণে ধীরগতি অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নকে বিলম্বিত করছে।’ তিনি নির্মাণকাজ চলাকালে প্রকৌশলীদের তদারকি বাড়ানোর নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘দেশের অর্থনীতির লাইফ-লাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণের ফলে এ মহাসড়কে আর কোনও যানজট নেই। তবে পরিচ্ছন্নতার অভাব আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর অংশে সড়কের ওপর আবর্জনা পরিষ্কার করে মহাসড়কটি পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
কুমিল্লা থেকে বেগমগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজের ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘ফেনী-চৌমুহনী ও চৌমুহনী-সোনাপুর চার লেন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে।
এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে শেখ হাসিনা সরকার কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। এ সংকটে বাংলাদেশের পরিবেশ, ও পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ কমে গেলে ১১ লাখ অতিরিক্ত মানুষের চাপ বহন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হবে।’ এ সমস্যা সমাধানে তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।