হাট-গোদাগাড়ী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

লিয়াকত হোসেন রাজশাহীঃ রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের হাট গোদাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর জামালের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছে কয়েকজন শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। গত ২১ মে শনিবার অত্র এলাকায় গেলে সেখানকার একাধিক ব্যক্তি ও পারিলা ইউপি এক সদস্য অভিযোগ করে বলেন, অত্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তোতা মিলে দীর্ঘদিন থেকে নানা ধরনের অনিয়ম করে আসছেন।

এবিষয়ে অত্র স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক স্কুলে একনায়কতন্ত্র চালিয়ে আসছেন। তিনি বিদ্যালয়ের পুকুর ও আম গাছ টেন্ডার ছাড়াই লিজ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও স্বজনপ্রীতি ও অর্থের বিনিময়ে তাঁর আপন ভাগ্নেকে এ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়াও তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রীর আপন বড় বোন নাজমা পারভীনকে নিয়োগ দিয়ে রাখলেও তিনি কোন প্রকার ক্লাস না নিয়েও নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন বলে জানা তারা।

তার বদলে ক্লাস নেওয়ার জন্য অন্য একজনকে টেম্পোরারি হিসেবে স্কুলে রেখে দিয়েছেন।

স্কুলের ফান্ডের টাকা অনিয়ম দূর্নীতি করার ফলে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়নমূলক কাজ করেন না। বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ন ও সাইকেল গ্যারেজ নষ্ট হয়ে গেলেও তিনি মেরামত না করে অত্র অর্থ আত্মস্বাত করছেন। শুধু তাই নয়। এখন আবার তাঁর চাচাতো ভাইকে আবারও সভাপতি করার জন্য জোর লবিং করছে । এছাড়াও শিক্ষক প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধি নিজের মত করে নির্বাচিত করে রাখেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, কম্পিউটার বিষয়ে জ্ঞান না থাকলেও সিদ্দিকুর রহমানকে অবৈধভাবে কম্পিউটার শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অদক্ষতার কারণে প্রায় অধিকাংশ কম্পিউটার অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

অপর দিকে ইংরেজিতে রিডিং পড়তে পারে না এমন ব্যাক্তিকেও তিনি ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

শিক্ষকরা আরো অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক তার মন মত শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধি গঠন করে অথচ বাকি শিক্ষক তারা জানেই না যা নিয়ম বর্হিভূত।

তারা এই প্রধান শিক্ষকের এ সকল কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে এই শিক্ষকের অপসারণ ও দাবী করেন।

অভিযোগ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক নুরজামালের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি যেসব অনিয়মের কথা বলছেন তা সঠিক নয়।

এ বিষয়ে পবা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছুটা অনিয়মের কথা শুনেছি তবে শিক্ষকরা যদি পবা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিলে তাহলে আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখতে পারি বলে জানান এই শিক্ষা অফিসার।

এদিকে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মঞ্জুর মাস্টার নামে একজন প্রতিবেদক লিয়াকত হোসেনকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে দেখা নেওয়া হুমকিসহ হত্যা করবেন বলে হুমকি প্রদান করেন।

Next Post

রাজশাহীতে ২৯টি কেন্দ্রে ৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

শুক্র মে ২৭ , ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগরীর ২৯টি কেন্দ্রে ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৬ হাজার ৪৮৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের রাজশাহী অঞ্চলের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাজশাহী মহানগরের ২৯টি কেন্দ্রে ৩২ হাজার ৫৮১ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। এরমধ্যে […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links