স্বাস্থ্য ডিজির কাছে সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে মন্ত্রণালয় ।

আভা ডেস্কঃ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদফতর রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে চুক্তি করেছে’ মর্মে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া বক্তব্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির আগে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল, চুক্তির পর শর্তগুলো প্রতিপালনে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা বলতে কী বোঝানো হয়েছে, এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে দিতে বলেছে মন্ত্রণালয়

রোববার উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়েছে, রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির পূর্বে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল, চুক্তির পর উদ্ধৃত শর্তসমূহ প্রতিপালনে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে কী বুঝানো হয়েছে তা সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাসহ আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রদান করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

প্রসঙ্গত, শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (সমন্বয়) ডা. জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণার বিষয়ে কিছু আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারি মো. শাহেদ করিমের বিভিন্ন প্রতারণার খবরও বেরিয়ে আসছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর তার বিষয়ে আগে অবহিত ছিল না।

এ বছরের মার্চ মাসে আকস্মিকভাবে দেশে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। কোনো বেসরকারি হাসপাতাল কোভিড রোগী ভর্তি করতে চাইছিল না। অথচ অনেক রোগীরই পছন্দ থাকতো বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক। এমন একটি ক্রান্তিকালে রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢাকার উত্তরা এবং মীরপুরে অবস্থিত ঐ নামের দু’টি ক্লিনিককে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ডেডিকেটেড করার আগ্রহ প্রকাশ করে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল বিভাগ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়। তবে ক্লিনিক দু’টি পরিদর্শনকালে চিকিৎসার পরিবেশ উপযুক্ত দেখতে পেলেও ক্লিনিক দু’টির লাইসেন্স নবায়ন ছিল না। বেসরকারি পর্যায়ে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা সুবিধা সৃষ্টির মহতী উদ্দেশ্য নিয়ে অপরাপর বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও উৎসাহদানের লক্ষ্যে লাইসেন্স নবায়নের শর্ত দিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে ২১ মার্চ ২০২০ তারিখে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সমঝোতা পূর্বে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক পরিচয় থাকা তো দূরের কথা টকশো ছাড়া আগে কখনও শাহেদকে দেখেননি। তবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর বেশ ক’বার তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরে এসেছিলেন। এ সময় শাহেদ তার সঙ্গে বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তির যোগাযোগ আছে এবং তার ক্লিনিকগুলোতে কোন কোন বিশিষ্ট ব্যক্তির কোভিড আক্রান্ত আত্মীয় ভর্তি আছেন সেসব কথা বলার চেষ্টা করতেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে অধিদফতরের অবস্থান পরিষ্কার। একটি মহতী উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রতারিত হয়েছে এবং ৭ জুলাই ২০২০ আইনানুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করেছে। স্বাভাবিকভাবেই সমঝোতা স্মারকের আর কোন মূল্য নেই। আমাদের প্রত্যাশা যারা এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত তারা আইনের অধীনে যথাযথ শাস্তি পাবে। এই প্রসঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় এবং নিজস্ব উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদফতর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঝটিকা পরিদর্শন কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে যা চলমান থাকবে।

সুত্রঃ যুগান্তর

Next Post

আইসিসির সঙ্গে ডিআরএস নিয়ে আমি কখনই একমত নই, শচীন ।

সোম জুলাই ১৩ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ লেগ বিফোর উইকেটের ক্ষেত্রে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া হলেও তা নিয়ে অনেক আগ থেকেই বিতর্ক রয়েছে। ‘আম্পায়ার্স কল’ নিয়মের পরিবর্তন চাইলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার সঙ্গে এক অ্যাপে টেন্ডুলকার বলেছেন, ডিআরএস সিস্টেমের মাধ্যমে যদি স্পষ্ট দেখা যায় বল স্টাম্পে লেগেছে তখন মাঠে […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links