আভা ডেস্কঃ একাধিকবার ছুটি ঘোষণা এবং ছুটি বাতিল করার মধ্য দিয়ে সরকার করোনাভাইরাসের চাষাবাদ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম।
তিনি বলেন, সরকার একাধিকবার ছুটি ঘোষণা এবং ছুটি বাতিল করার ফলে জনগণ সমগ্র দেশে একাধিকবার বিনা বাধায় ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছে। শ্রমিকরা একাধিকবার নিজ নিজ গ্রামে আসা-যাওয়ার ফলে বিনা বাধায় করোনা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে । পক্ষান্তরে-সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সমগ্র দেশে করোনাভাইরাস চাষাবাদ হচ্ছে।
শনিবার এলডিপির সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহউদ্দিন রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
অলি আহমদ বলেন, মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশের এবং জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতিরোধ করার জন্য কারফিউ অথবা জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য সরকারকে একাধিকবার অনুরোধ করেছি। সরকার আমার সে পরামর্শগুলো কর্ণপাত করেনি। যার কারণে আজ সমগ্র দেশে করোনা বিস্তৃতি লাভ করেছে। এছাড়াও ঢাকা এবং চট্টগ্রামের অলিগলিতে করোনা রোগের প্রাদুর্ভাব বিস্তার ঘটছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যদি জরুরি অবস্থা অথবা কারফিউ জারি করা হতো, তাহলে করোনাভাইরাস কখনো বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছাতো না।
তিনি বলেন, বড় বড় শহরগুলোতে করোনায় সংক্রমিত হলে কি পদক্ষেপে যাবে জনগণ তা তারা জানে না । জনগণ জানে না কোন হাসপাতালগুলোতে আসন খালি আছে, কোথায় রোগী ভর্তি করা যাবে। ফলে পরিবারের সদস্যদের করোনা রোগীকে নিয়ে একাধিক হাসপাতালে ছুটাছুটি করতে হচ্ছে। আশাকরি সরকার এ সমস্যাগুলো উপলব্ধি করবেন। বড় বড় শহর এবং জেলা-উপজেলাতে রোগীরা কোন জায়গায় গেলে চিকিৎসা পাবে, এ তথ্যগুলো প্রতিনিয়ত টেলিভিশনের মাধ্যমে জনগণকে অবহিত করা উচিত। জনগণ বাঁচলে অর্থনীতি সব সময় ঠিক করা সম্ভব হবে। কিন্তু লাশের মিছিল লম্বা হলে সবকিছু হাত ছাড়া হয়ে যাবে। এখনো সময় আছে কঠোরভাবে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও কারফিউ দিয়ে করোনা বিস্তাররোধ করা অত্যান্ত জরুরি।
