সংসার জীবনের ইতি টানছে শাবনূর ।

আভা ডেস্কঃ বনিবনা না হওয়ার কারণ দেখিয়ে সংসার জীবনের ইতি টানছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। গত ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনিককে তালাক দিয়েছেন শারমীন নাহিদ নূপুর ওরফে শাবনূর। নিজের সই করা নোটিশটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে তিনি স্বামীকে পাঠিয়েছেন।

নোটিশে শাবনূর জানিয়েছেন, বিয়ের পর হতে স্বামী অনিকের সঙ্গে তার ‘বনিবনা হয় না’। তাই গত ২৬ জানুয়ারি তিনি সেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে ও সুস্থ মস্তিস্কে স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়ের থেকে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করছেন। আর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন-এর ৭ (১) ধারামতে শাবনূর তালাক চেয়েছেন।

নোটিশের অনুলিপি অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। নোটিশে সাক্ষী রয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দুজন।

এদিকে, শাবনূর নোটিশে উল্লেখ করেছেন, ‘আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়, আমার এবং সন্তানের যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। সে মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে।’

শাবনূর আরও উল্লেখ করেন, ‘একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামী যে ব্যবহার করেন অনিক সেটা করছেন না, উল্টো নানাভাবে আমাকে নির্যাতন করে। এসব থেকে তাকে ফেরানো যাচ্ছে না। বরং ওর নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য মনে হয়েছে তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারব না।

তাই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।’

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন শাবনূর। স্বামী যশোরের ছেলে অনিক মাহমুদ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং পেশায় ব্যবসায়ী। বিয়ের পরের বছরই এ দম্পতির ঘর আলোকিত করে আসে এক পুত্রসন্তান। ছেলে আইজান নিহানকে নিয়েই শাবনূর এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।

Next Post

বাগমারায় এক নারী দুই স্বামী, অচেতন অবস্থায় রামেক হাসপাতালে স্ত্রী ।

বুধ মার্চ ৪ , ২০২০
বাগমারা প্রতিনিধিঃ এক নারীকে দুইজন স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। দুই স্বামীই পুলিশের দারস্থ হয়েছেন। তবে যাকে নিয়ে এত ঘটনা, সেই নারী এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ফলে তার জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে দুই স্বামীকে। পুলিশ বলছে, ওই নারীর জ্ঞান ফিরলেই বোঝা যাবে তিনি […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links