শোয়েবের বল করা দেখে মজা পান ব্রেট লি ।

আভা ডেস্কঃ দুজনই বিশ্ব ক্রিকেটের রত্ন। বল হাতে ২২ গজে গতির ঝড় তোলায় উভয়েরই রয়েছে আকাশছোঁয়া খ্যাতি। ভবিষ্যতে ক্রিকেট দুনিয়া এ রকম গতিময় পেসার দেখতে পাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। কারণ দিন দিন বোলারদের গতি কমছে। নেপথ্যে পরিবর্তিত বৈশ্বিক আবহাওয়া ও খাদ্যাভ্যাসকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা হচ্ছে– পাকিস্তানের স্পিডস্টার শোয়েব আখতার এবং অস্ট্রেলিয়ার গতিতারকা ব্রেট লির কথা। ক্যারিয়ারে কে কত বেশি গতি তুলতে পারেন, এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ছিল তুমুল দ্বৈরথ ।

তবে মাঠে যতই লড়াই হোক, মাঠের বাইরে শোয়েব-লির ছিল গভীর বন্ধুত্ব। আজও যা অটুট। সুযোগ পেলেই একে অপরকে প্রশংসায় ভাসান তারা। পাকিস্তানের বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক সাজ সাদিকের টুইটে ফের সেই কথার প্রমাণ মিলল। সদ্য লিকে উদ্ধৃত করে টুইট করেছেন তিনি। তাতে প্রথম দর্শনে পাক পেসারের আগুনে গতির ডেলিভারি দেখে কেমন লেগেছিল জানিয়েছেন অজি ফাস্ট বোলার।

ব্রেট লি বলেন, টিভিতে পাকিস্তানের একটি টেস্ট ম্যাচ দেখছিলাম। ওই সময় লক্ষ্য করেছিলাম, চুল উড়িয়ে সীমানা থেকে দৌড়ে আসা দ্রুতগতির আর্ম অ্যাকশনের এ মানুষটাকে। দেখেই ভাবতে লেগেছিলাম, এটি কে! তার তো দুর্দান্ত গতি। কে এ মানুষটি? উনার নামই বা কী?

পরে মাঠে সাক্ষাৎ হয় শোয়েব-লির। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতিটানা পর্যন্ত দুজনের মধ্যে চলতে থাকে ‘যুদ্ধ’। উভয়ই গতিতে একে অন্যকে টপকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে প্রভাব ফেলেনি।

ব্রেট লি বলেন, সময়টা সম্ভবত ’৯০ দশকের শেষদিকে। সালটা ১৯৯৭ কী ১৯৯৮, তখন প্রথমবার শোয়েবকে বল করতে দেখেছিলাম। তাকে গতি তুলতে দেখা রীতিমতো রোমাঞ্চকর ছিল। কেউ জোরে বল করলে সে কোন দেশের তা মাথায় রাখি না আমি। আমার শুধু তা দেখতে মজা লাগে।

১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় শোয়েবের। আর ১৯৯৯ সালে পথচলা শুরু হয় লির। অবশ্য গতিতে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি তিনি। ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার গতি তুলে সর্বকালের দ্রুততম বোলারের তকমা সেঁটে আছে পাকিস্তানি পেসারের গায়ে। সেখানে মাত্র .২ কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন অস্ট্রেলীয় গতিদানব।

তথ্যসূত্র: ক্রিক ট্র্যাকার/টাইমস নাউ

 

Next Post

আম্পানের ক্ষয়ক্ষতিতে দুঃখপ্রকাশ করে চিঠি দিয়েছেন প্রিন্স চার্লস ।

শুক্র মে ২৯ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতিতে দুঃখপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রিন্স চার্লস। শুক্রবার (২৯ মে) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। প্রেস সচিব বলেন, প্রিন্স চার্লস ও তার স্ত্রী ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলিয়ার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে এই চিঠি দেন। চার্লস চিঠিতে লিখেছেন, ঘূর্ণিঝড় […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links