লাইফ গার্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান, ভুয়া ডাক্তারসহ আটক-৭

নিজস্ব প্রতিনিধি: সংবাদ প্রকাশের জেরে রাজশাহীর লক্ষীপুরে অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা: আবু সাঈদ মোহাম্মাদ ফারুক। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রাজশাহী স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও লাইফ গার্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অনুমোদনহীন ও ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের অভিযোগে স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। অপরদিকে লাইফ গার্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঝটিকা অভিযানে একজন ভুয়া ডাক্তার ও ৬ জন দালালসহ ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) রাজশাহী সিভিল সার্জনের পরিচালনায় বেলা ৪:৩০ ঘটিকায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ভুয়া রিপোর্ট ও দালাল কতৃক হয়রানি’র সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই সকল সংবাদের জেরে রাজশাহী সিভিল সার্জন গোপনে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে নিয়মিত রুটিন ওয়ার্ক অনুযায়ী উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিকাল ৪:৩০ ঘটিকায় অভিযান টিম লক্ষীপুর স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার গিয়ে অনুমোদন না থাকায় সেটি বন্ধ করে দেয়। পরে ঐ অভিযান টিম লাইফ গার্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যায়। সেখানে গিয়ে ভুয়া ডাক্তার শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরো মেডিসিন অভিজ্ঞ ডা: মাহাবুব আলমকে আটক করেন। ওই ভুয়া ডাক্তারকে তৎক্ষনাৎ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিন মাস কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেখান থেকে আরো ৬ জন দালাল আটক করে ১০ দিনের কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়। লাইফ গার্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সামিম রেজাকেও আটক করা হয়। মালিক সামিম রেজাকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারের ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন অভিযান পরিচালনা টিম।
অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়া রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক জানান, রোগীদের হয়রানি ও অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। এসময় অনুমোদন না থাকায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধসহ লাইফ গার্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জরিমানা করা হয়। এছাড়াও লাইফ গার্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ৬ জন দালাল ও একজন ভুয়া ডাক্তার আটক করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি’র মালিক পক্ষকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, রাজশাহী স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিচালক মিজানুর রহমান রামেক হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ দীর্ঘদিন যাবৎ ভুয়া রিপোর্ট প্রদানসহ হাসপাতাল থেকে রোগীদের নিয়ে গিয়ে প্রতারণা করতেন। অনুমোদনহীন হওয়ায় তার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দেয় সিভিল সার্জন।

Next Post

পুঠিয়ায় পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির মহোৎসব!

সোম ফেব্রু. ১২ , ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় পরিবহন খাতে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। উপজেলা জুড়ে প্রায় ১০টি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি এখন প্রকাশ্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে।বাস, টেম্পো, লেগুনা ও অটোরিকশার স্ট্যান্ডগুলোতে হচ্ছে এই চাঁদাবাজি। প্রতি মাসে পরিবহন খাতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। আর পরিবহন খাতে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে শক্তিশালী […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links