রাসিক মেয়রকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করায় রকি’র উদ্যোগে আনন্দ মিছিল

আভা ডেস্কঃ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সফল সভাপতি এবং  জাতীয় চার নেতার অন্যতম নেতা এএইচএম কামরুজ্জামান হেনা’র সুযোগ্য সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য করায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে  লাল গোলাপ শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগসহ সহযোগি অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং রাজশাহীর সকল স্তরের সাধারণ মানুষ। সেই সাথে  মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষের উদ্যোগে একটি আনন্দ মিছিল করেন।

১৯ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকালে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তিন নেতাকে দলটির প্রেসিডিয়ামের সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন অন্যতম। পরের দুইজন হলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

ঘোষনার পর (১৯ নভেম্বর) থেকে অর্থাৎ রাতেই পুরো রাজশাহীতে যেন আনন্দের ঢল নেমে যায়। সেই আনন্দকে আরও উদ্বেলিত করতে রকি কুমার ঘোষের উদ্যোগে বিশাল আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে নেতা কর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেছেন রকি কুমার ঘোষ।

এক নজরে ফিরে দেখাঃ — আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৫৯ সালের ১৪ আগস্ট রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর ১৯৭৬ সালে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৭৯ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি তিনি বার কাউন্সিলের সদস্য হন। তিনি ১৯৮৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে সপ্তম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (পবা-বোয়ালিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহী সিটি করপোরেশনে মেয়র ছিলেন খায়রুজ্জামান লিটন। এর পর ২০১৮ সালে পুনরায় তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।

রাসিক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান লিটনকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এক বিবৃতিতে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

রকি বলেন, পুরো উত্তরবঙ্গ জামায়াত বিএনপির আস্তানা বা ঘাটি ছিল সেখান থেকে আমার রাজনীতির অবিভাবক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভাইয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং নেতৃত্বে রাজশাহীর মাটিকে আওয়ামী লীগের ঘাটিতে রুপান্তরিত করা হয়েছে। এরপর থেকে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তিনি শুধু দলকে শক্তিশালী করেননি, তিনি এই রাজশাহীকে বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে মাথা উঁচু করেছেন। তাই লিটন ভাইকে উন্নয়নের ফেরিওয়ালা উপাধি দেয়া হয়েছে। আমার অবিভাবক লিটন ভাইয়ের জন্য দোয়া ও মঙ্গল কামনা করি তিনি যেন সকলের ভালবাসা নিয়ে বেঁচে থাকেন।

Next Post

হাফ ভাড়া নি‌তে অসম্ম‌তি-ছাত্রী‌কে ধর্ষ‌ণের হুম‌কি : শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

রবি নভে. ২১ , ২০২১
আভা ডেস্কঃ হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় ধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে রাজধানীর বকশি বাজার সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাত কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। এর আগে গতকাল শনিবার সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্য‌মে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের এক ছাত্রী অভিযোগ করে জানান, হাফ […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links