রাজশাহী-২ আসনে পরিবর্তন চায় নগরবাসী-অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা

নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ সদর আসনে আলোচনার শীর্ষে থাকা আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, এই আসনটিতে এবার নগরবাসী পরিবর্তন চায়।এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক করতে দলীয় মনোনয়নের বাহিরের অনেক প্রার্থী এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন তিনি। তবে ১৪ দলের শরিক হিসেবে এ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন ফজলে হোসেন বাদশা।

২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) বেলা ১:৩০ মিনিটে মহানগর আ’লীগের কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন শফিকুর রহমান বাদশা।

এসময় তিনি বলেন,দলীয় মনোনয়নের বাহিরেও প্রার্থীরা নিজ নিজ দল থেকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন। মহানগর আ’লীগের সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এবারের নির্বাচনে তাঁর পক্ষে কাজ করছেন। এই শিক্ষক নেতা রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ এই নেতা আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হলে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে হাতে-হাত মিলিয়ে উন্নয়নে অংশ নিবো। সদর আসনে উন্নয়ন দৃশ্যমান এবার হবে কর্মসংস্থান স্লোগানে আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হলে নারী ও তরুণ প্রজন্মের জন্য কাজ করবেন। রাজশাহী মহানগরবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনে লিটনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবো।

এবারের নির্বাচনে সদর আসনে নতুন মুখ দেখতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা নগরীর শিক্ষাখাতে অভুতপূর্ব পরিবর্তন করতে চাই। একারণে নগরবাসী ব্যপক সাড়া দিচ্ছেন। জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের জনগণ আর চায় না। এবারের নির্বাচন অবাদ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। তবে প্রার্থীদের ভুমিকা অনেকটা নিরপেক্ষ নয়, তারা বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। এখন পর্যন্ত এরকম কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তবে ভবিষ্যতে এরকমই থাকলে একটি নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন,‘আমি কাঁচি প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে আছি এবং দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকেই পাশে পেয়েছি। নগর আওয়ামী লীগের ভোট তার ঘরেই আসবে বলে তিনি দাবি করেন।

ভোটে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘গত ১৫ বছর ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী রাজশাহী সদর আসনে ছিলেন ফজলে হোসেন বাদশা। তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। উন্নয়নের ক্ষেত্রে মেয়রের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাজের যে সমন্বয় থাকা দরকার, সেটা তিনি করেন না।

‘তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করেন না। এ কারণে আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটি আর বাইরের কাউকে ছাড় দিতে চায় না।এখানকার সাধারণ কর্মীরাও চায় না এটা।’

Next Post

জমি কিনে বিপাকে ক্রেতা, বাড়ি ছাড়তে ভাড়াটিয়ার চাঁদাদাবি

শনি ডিসে. ২৩ , ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী মহানগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের শিরোইল কলোনী ৪ নং গলিতে জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন জমি ক্রেতা রশিদ কোরাইশী। জমিতে ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকা জাহিদুল ইসলাম স্ত্রী সামীমা খাতুন জমি ছাড়তে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) এমন অভিযোগ তুলে চন্দ্রিমা থানায় লিখিত অভিযোগ […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links