নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সীমিত পরিসরে ট্রেন চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্তের পর ট্রেনের আগাম টিকিট কিনতে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় জমিয়েছেন যাত্রীরা। শনিবার (৩০ মে) সকাল থেকেই তারা টিকিট কাউন্টারের সামনে অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি। কাউন্টারে নয় শুধু অনলাইনে টিকিট বিক্রি করবে রাজশাহী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এমনটা পরে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় ।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনাভাইরাসের সংক্রামন রোধে সামাজিক দূরত্ব কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে টিকিট প্রত্যাশীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। অনেকেই সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন রুটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। রোববার (৩১ মে) থেকেই ট্রেনগুলো চলার কথা। বৃহস্পতিবার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের তিনটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এগুলো হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকাগামী বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস এবং খুলনা থেকে ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস।
এসব ট্রেন আগের সময় অনুযায়ী গন্তব্যে যাবে এবং আবার নির্ধারিত স্থানে ফিরে আসবে। শনিবার দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ জানিয়েছেন, পশ্চিম রেলের আরও একটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছেন। সেটি হলো- পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে চলাচলকারী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস।
মিহির কান্তি গুহ জানান, শনিবার দুপুরের দিকেই ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে ট্রেন চালানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানানোর কথা রয়েছে। এরপর তাদের টিকিট বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হবে। নির্দেশনা পাওয়ার পর তারা টিকিট ছাড়বেন। প্রতিটি ট্রেনের অর্ধেক টিকিট বিক্রি করা হবে। অনলাইন থেকেও টিকিট কেনা যাবে। শনিবার বিকালের দিকে টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে বলেও জানান তিনি।
টিকিট প্রত্যাশীরা জানায়, সকালে ট্রেনে টিকিট বিক্রির কথা থাকলেও বিক্রি করা হয়নি। তারা দুপুর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছেন লাইনে। কাউন্টারের টিকিট বিক্রির বন্ধের সিদ্ধান্ত আগে থেকে জানিয়ে দিলে প্রত্যাশীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।
রাজশাহী রেল স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের মধ্যে কেউ কেউ শুধু বনলতা ট্রেনের টিকিটের জন্য নয় অন্য ট্রেনের টিকিটের জন্য এসেছেন। তারা দাবি করছেন, ট্রেন চলবে এমন কথা শুনে তারা টিকিট কিনতে এসেছেন। স্টেশনে এসে অনেকেই ফিরে গেছেন।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে প্রায় দুই মাস আগে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ঈদের আগে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন চালুর প্রস্তুতি শুরু হয়। যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে অংকন করা হয় বৃত্ত। এরপরই সীমিত পরিসরে ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। এখন চলছে টিকিট বিক্রির প্রস্তুতি।