নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাঘা চারঘাট সীমান্তে চোরা কারবারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে । কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে চোরাই পথে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মাদক ও গরু মহিষ পাচার করছে । এতে করে ক্ষতির মুখে পড়ছে দেশীও গরু মহিষ চাষী খামারিরা । মাদক পাচার কালে ইতিমধ্যেই বাঘায় এক ইউপি সদস্য আটক হয়েছে । কিন্তু ধরা ছোয়ার বাহিরে আছে সিন্ডিকেটের আরও অনেক সদস্য ।
ইতিমধ্যেই দীর্ঘ সময় আত্মগোপনে থাকা মাদক সম্রাটরা আবারো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। তাদের টার্গেট সামনে কোরবানির ঈদ। অভিযোগ উঠেছে এই ঈদকে টার্গেট করে তারা নিজেদের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে সীমান্তে গড়ে তুলছেন কয়েকটি শক্তিশালী ঘাটি। এসব মাদক কারবারীরা সিন্ডিকেটের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রাত বিরাত ঘুরছেন নেতার অভিনয়ে। যারাই এই মাদকের ব্যাপারিদের কথা বলবে তাদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা করায় এই সিন্ডিকেটের কাজ বলে জানিয়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকাবাসী। চারঘাটের কয়েকটি এলাকায় সরজমিনে সীমান্তে বসবাসকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে এমন তথ্য। তবে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতে প্রতিনিয়তই আটক করা হচ্ছে মাদকসহ এর সঙ্গে জড়িতদের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রয়েছে জিরো টলারেন্স নীতি। কিন্তু স্থানীয়দের ভাষ্যমতে , মাদকের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ছাড়াও উচ্চ পর্যায় থেকে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তায় সীমান্তে চিহিৃত মাদক কারবারীরা অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়ে। প্রশাসনের কঠোর হুশিয়ারীতে মাদক কারবারীরা চলে যায় অনেকটা আত্মগোপনে।
তবে মিডিয়াকর্মীদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ৯-১০ জনের নাম। এরা হলেন ১। আমজাদ হোসেন ২।আব্দুর রহমান ৩। শহিদুল আলম ৪।আয়নাল হোসেন ৫। হবিবর ৬। মাসুম ৭। ফজলু ৮।আমির হোসেন, ৯। রহিম, ১০। মোজ্জাফর । অভিযোগ উঠেছে এসকল নেতৃত্বদান কারিরা আত্মগোপনে থেকেও চিহিৃত মাদক কারবারীরা তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের নিয়ে চালিয়ে আসছে অবৈধ মাদক ব্যবসা। তারা মূলত মাদক ও চোরাকারীর চিহিৃত গডফাদার। এসব মাদক কারবারীদের নজরে রেখে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এরা আরো বেপরোয়া হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সীমান্তবর্তী এলাকাবাসী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মীরগঞ্জ এলাকার একজন কলেজ শিক্ষক বলেন, বেশ কিছুদিন মাদকের ব্যাপারে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে সামনে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন মাদক কারবারীরা একটু প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। মাদক পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে বেছে নিচ্ছে চারঘাটের টাঙ্গন,ইউসুফপুর, গোপালপুর,পিরোজপুর,রাওথা বেশ নাম করার এলাকা। এছাড়াও বাঘার মীরগঞ্জ,হরিরামপুর, আলাইপুর এলাকা উল্লেখযোগ্য। এক সময় এসব এলাকা মাদক শুণ্য হলেও বর্তমানে এসব এলাকার চিহিৃত মাদক কারবারীরা আবারো মাদক কারবারে সক্রিয় হচ্ছে বলে ধারণা করছেন ওই কলেজ শিক্ষক। চারঘাট-বাঘার সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েকজন সাধারন মানুষ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এসব এলাকায় কয়েকজন মাদক কারবারী মিলে করেছেন সিন্ডিকেট। এরকম বেশ কয়েকটি সি্ন্ডিকেট রয়েছে সীমান্তে। হরিরামপুর এলাকার জনৈক ব্যক্তি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে শুধু মাদক কারবারীরা মাদক পাচার ছাড়াও অবৈধ পন্থায় গরু মহিষ আনার চেষ্টাও করছেন প্রতিনিয়তই।
বিষয়টি সম্পর্কে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম বলেন, মহামারী কারোনার কারণে পুলিশ সীমিত আাকারে মাদক বিরোধী অভিযান চালালেও ঈদকে সামনে রেখে কোন মাদক ব্যবসায়ী সুযোগ সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য ব্যাপক তৎপর রয়েছে পুলিশ। ঈদকে সামনে রেখে মাদক কারবারীরা সক্রিয়া হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, মাদক কারবারীদের ব্যাপারে তথ্য উপাত্ত নিয়ে প্রতিনিয়তই পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে আসছে ইতিমধ্যে ইউপি সদস্যসহ একই দিনে বাঘা থানা পুলিশ সীমান্তে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানের মাদকসহ চিহিৃত মাদক কারবারীদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও সীমান্তে যেসব মাদক কারবারী চিহিৃত রয়েছে তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনেও আওতায় আনা হবে।