নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী নগরীর কাজলায় অংশিদারি সম্পত্তি ফিরে পেতে ভুক্তভুগি তিন পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন । আজ মঙ্গলবার কাজলা গেট, বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসনসহ যথাযর্থ কর্তপক্ষে দৃষ্টি আকর্ষন পুর্বক সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়ার আকুল আবেদন জানানো হয় । সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবু তালেবের বড় মেয়ে সায়েদা বেগম ।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রাজশাহী নগরীর মতিহার থানাধীন কাজলা গেট মৃত সুলতাল আলী জীবিত অবস্থায় আড়াই কাঠা জায়গা (খতিয়ান নম্বর ১৫০১, আরএস ৭০১) তার পাঁচ সন্তানদের মধ্যে সমান ভাবে রেজিষ্ট্রি করে দেন । যে যার নামে খারিজ করেও নেয় । পরবর্তীতে তারা ৫ সন্তান মিলে একটি মার্কেট নির্মান করার চুক্তি করেন । কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী মার্কেট তৈরী না করে মার্কেটে তৈরীর টাকা (৭,২৮,০০০/-)
সাত লাখ আটাশ হাজার টাকা আত্নসাৎ করেন আব্দুস সোবহান কাচু । নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ না করেই ভোগ দখন করছেন আব্দুস সোবহান কাচু ও নাজিম উদ্দিন নাজু । এতে আর্থিকভাবে অপর তিন অংশিদার ১৪ বছরে প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন । এই বিষয়ে বহুবার বিচার কার্য সম্পুর্ণ হলেও অজ্ঞাত কারণে তার সেই সকল বিচার মেনে নিয়েও পরে তা অস্বীকার করেন । শুধু অস্বীকার করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা বিভিন্ন হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলা ও সংবাদ সম্মেলন করে আসছে । বর্তমানে উক্ত জায়গার উপর আদালত কতৃক ১৪৫ ধারা জারি করা আছে । বর্তমানে উভয় পক্ষের আদালতে মামলা চলছে । চলমান মামলায় মার্কেটটির সকল দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে । ৫ অংশের অংশিদারিত্বের জায়গায় দুই অংশিদার আব্দুস সোবহান ও নাজিমুদ্দিন নাজু জোর পূর্বক ভোগ দখন করে দীর্ঘ ক্ষতির সম্মুখিন করেন বাকি তিন অংশিদার আবুল তালেব ও আবুল কালাম, আব্দুল কাদের গঙদের । সর্বশেষ ১২ জুলাই ২০২০ ইং তারিখে উক্ত মার্কেটের বাজার কমিটির পক্ষে থানা পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ একটি আপস মিমাংশা করলেও সেই সময় তারা আপস মিমাংসা মানলেও ২ মাস পরে তা অস্বীকার করেন ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০০৫ সালে রাস্তা উন্নয়নের কাজে মার্কেটের কিছু অংশ সরকার একোয়ার করেন এবং তাদের ৫ অংশিদারের টাকা একোয়ারের ৭,২৮,০০০/- হাজার টাকা পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্কেট তৈরী কাজে লাগানোর জন্য আব্দুস সোবহান কাচু কাছে রাখেন । তিনি সেই টাকা আত্নস্বাৎ করেন । সরকারের একোয়ারের টাকা ৫ অংশিদার সমান ভাবে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয় মর্মে উল্লেখ্য করা হলেও প্রকৃত ঘটনা সেই টাকা আব্দুস সোবহান আত্নসাৎ করেন । সম্পত্তি বাকি অংশ এখন অবদি বাকি অংশিদারদের বুঝিয়ে না দিয়ে আব্দুস সোবহান জোর পূর্বক ভোগ দখন করছে ।
প্রতিকার পেতে অপর তিন অংশিদার আবু তালেব, আবুল কালাম, আব্দুল কাদের আইনের আশ্রয় গ্রহন করেছেন । এতে ভিতু হয়ে আব্দুস সোবহান কাচু ও নাজিমুদ্দিন নাজু বিভিন্ন হয়রানি মুলক মামলা ও সংবাদ প্রকাশের নিমিত্তে মিথ্যা বানোয়াট খবর সংবাদ মাধ্যমেকে দিচ্ছেন । তিন অংশিদারের জমি জোরপূর্বক ভোগ দখলের এই ভুমিদস্যুর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে । এছাড়াও তারা উদ্ধর্তন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন । ২১ সেপ্টেম্বর যে সংবাদ সম্মেলন আব্দুস সোবহান কাচু ও নাজিমুদ্দিন নাজু করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন । পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনে উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভুক্তভুগি তিন পরিবার ।