মোহনপুরে অভিযোগের ২ ঘন্টার মধ্যে অপহরণ হওয়া স্কুল ছাত্রী উদ্ধার, আটক-১ ।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলায় অপহরণের অভিযোগ দেওয়ার ২ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামী ও অপহরণ হওয়া ছাত্রীকে উদ্ধার করেন থানা পুলিশ । আটক আসামীর নাম আবু করিম রাকিব । সে মতিহার থানার চৌদ্দপাই গ্রামের মৃত মাসাদ আলীর ছেলে। রাকিব মোহনপুর কেশরহাট এলাকার স্কুলে পড়া এক নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। স্কুলে যাওয়া আসার সময় আসামী এই কাজ প্রায় করছিল। আসামীর কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১৪ অক্টোবর কেশরহাট হতে প্রাইভেট শেষে বাড়ী ফেরার পথে মোহনপুর থানাধীন বাকশৈল গ্রামস্থ সিটিসেল টাওয়ারের সামনে পৌছালে আবু করিম রাকিব ও কাউসার ভিকটিমকে জোরপূর্বক সিএনজি যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

অভি্যোগ পাওয়ার পর থানা পুলিশ সু-কৌশলে প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করে ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কথার ভিত্তিতে মেয়ের বাবা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি ও আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে সময় লাগায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে স্ব-শরীরে থানার উপস্থিত হয়ে এজাহারটি দায়ের করেন, ভিকটিমের পিতা।  (মামলা নং ১৪)

অভিযোগ পাওয়ার পর মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বিষয়টি তাৎক্ষণিক আমলে নেন এবং ওসি তদন্ত খালেদুল রহমানের নেত্রীত্বে এসআই আমজাদ হোসেন, এএসআই রাসেদসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কালক্ষেপন না করে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে মতিহার থানার চৌদ্দপায় এলাকায় আসামীদের না পেয়ে আবারো তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগীতা নিয়ে বোয়ালিয়া থানার সাধুরমোড়ে অবস্থান নির্ণয় করে সফল অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হন। আসামীকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে তোলতে গেলে স্থানীয় বখাটে মাদক আসক্তরা আসামী পক্ষ নিয়ে পুলিশে কাজে বাধা তৈরি করে ও গাড়ি ভাংচুরের চেষ্ঠা চালায়। এহেন অবস্থায় তদন্ত ওসি খালেদুর রহমান ও এএসআই রাশেদ এর চাতুরতায় আসামীকে আটক রেখে বোয়ালিয়া থানার মোবাইল ট্রিম সহযোগীতা নিয়ে কোন রকম সংঘাত ছাড়াই বোয়ালিয়া থানায় আনতে সক্ষম হন, সেই সাথে ভিকটিমকেও উদ্ধার করে নেন। বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মনের সাথে আলোচনা শেষে মোহনপুর থানায় নিয়ে আসা যাওয়া হয়।

এ ব্যাপারে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহমেদ জানান, অপহরণের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত ওসি খালেদুর রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে অভিযানে পাঠায়। আমার চৌকস বাহিনীর সফলতার সহিত তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে ভিকটিক কে উদ্ধার ও প্রধান আসামীকে গেপ্তার করে নিয়ে আসে এবং বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা চলছে। দ্রুত বাকি আসামীদেরও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। বুধবার সকালে আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ও ভিকটিম কে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্যে ওয়ান স্টপ ক্রাইসেস সেন্টারে রাখা হয়েছে।

Next Post

বাঁশখালীতে অভিযান চালিয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকার জাল পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতি অক্টো. ২২ , ২০২০
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: মা ইলিশ প্রজননের মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরনে নিষেধাজ্ঞাকালীন প্রশাসনিক অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার খাটকালী এলাকায় প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার জাল পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। ২১ অক্টোবর, বুধবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের খাটকালী ঘাটে সহ: পুলিশ সুপার শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে বাঁশখালী […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links