মিথিলা বিয়ে করেছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।

আভা ডেস্কঃ মডেল অভিনেত্রী মিথিলা বিয়ে করছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। কলকাতার বিখ্যাত নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে নাকি তার বিয়ে হচ্ছে।আগামী বছরই মিথিলা সৃজিতকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন এমন সংবাদ ছড়িয়েছে ভারতের গণমাধ্যমে।তবে বিয়ে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অভিনেত্রী মিথিলা।

মিথিলা-সৃজিতের ‘বিয়ে’ নিয়ে ভারতের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় বাংলা দৈনিক ‘এই সময়ে’ রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই সময়ের প্রতিবেদনে এতে বলা হয়, আগামী বছরের শুরুতেই সংসার শুরু করতে যাচ্ছেন সৃজিত-মিথিলা। তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়।

খবরে বলা হয়েছে, অনিনেতা ও গায়ক তাহসানের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর কয়েক মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে সৃজিতের সঙ্গে যোগাযোগ হয় মিথিলার। এরপর তাদের মধ্যে যোগাযোগ চলতে থাকে।নিজেদের মাঝে বোঝাপড়া বাড়তে থাকে।এক পর্যায়ে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। বন্ধুত্ব থেকে তাদের মধ্যে ঘনিষ্টতা বাড়তে থাকে।

খবরে বলা হয়, দুজনের মধ্যে মিল রয়েছে। তারা দুজনেই বিনোদন জগতের মিল।দুজনেই কণ্ঠশিল্পী শাহানা বাজপেয়ীর ভালো বন্ধু।

জানা গেছে, সম্প্রতি একটি মিউজিক ভিডিওর শুটিং করতে কলকাতায় যান মিথিলা।সেখানে বন্ধু সৃজিত তাকে সঙ্গ দেন। কলকাতার বিভিন্ন স্থাপনা ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখান।

মিথিলার কলকাতায় ঘুরে বেড়ানো নিয়ে খবরে বলা হয়েছে, দুজনের এই সম্পর্ক এখন আর শুটিং ফ্লোরে আটকে নেই। মিথিলা কলকাতা শহরে পা রাখার পর থেকে সৃজিত তাঁকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান। মিথিলাকে কলকাতা শহর দেখিয়েছেন। পরিচালকের ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, তাঁরা দুজন নাকি আগামী বছরের গোড়ার দিকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন।

মিথিলাকে সৃজিতের জীবনের ‘রহস্যময়ী নারী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ‘এলিজেবল ব্যাচেলর’ বলা হয় ‘অটোগ্রাফ’ খ্যাত নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে। তবে শোনা যাচ্ছে তিনিও এখন আর সিঙ্গেল নেই। এই নির্মাতার কাছের এক সূত্র জানিয়েছে, ‘রহস্যময়’ এক নারী এসেছেন সৃজিতের জীবনে। এই নারীর সঙ্গেই ঘর বাঁধবেন সৃজিত!

শনিবার রাতে কলকাতার রাজারহাটে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য ‘রহস্যময়’ সেই নারীর সঙ্গে হাঁটছিলেন সৃজিত।

খবরে আরও বলা হয়েছে, দুজনের সম্পর্ক বেশ সাবলীল মনে হয়েছে। একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করছিলেন তারা। সূত্র জানিয়েছে, সেই নারী বাংলাদেশের একজন সংগীত শিল্পী, অভিনেত্রী এবং এনজিও কর্মী। যার নাম রাফায়াত রশিদ মিথিলা!

জানা গেছে, সৃজিতের নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিতব্য একটি মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন মিথিলা।গানের শুটিংয়ে সম্প্রতি বেশ কিছুদিন কলকাতায় কাটিয়েছেন তিনি।

গানটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অর্ণবও। অর্ণব-মিথিলা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাইবোন।গানে মিথিলার সহশিল্পী হিসেবে আছেন ইন্দ্রাশিস রায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।মিউজিক ভিডিও শেষে দুদিন আগে ঢাকায় ফিরেছেন মিথিলা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিথিলা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংবাদের বিষয়টি আমি শুনেছি। কিন্তু এখনও দেখিনি।’ আর সৃজিতকে বিয়ে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এ অভিনেত্রী।

আর বিষয়টিকে গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দেন সৃজিত মুখার্জি।

এর আগে মিথিলার আগে আরেক বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসানের সঙ্গে সৃজিতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে খবর এসেছিল ভারতীয় গণমাধ্যমে।

১১ বছর সংসার করার পর তাহসানের সঙ্গে সুখের সংসারের ইতি টানেন মিথিলা।২০১৭ সালের ২০ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিয়ে বিচ্ছেদের কথা স্বীকার করেন তাহসান ও মিথিলা।

ওইদিন গণামাধ্যমে পাঠানো এক এসএমএস বার্তায় তাহসান ও মিথিলা বলেন, ‘বেশ কয়েকমাস ধরে নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধ নিরসনের চেষ্টার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সামাজিক চাপে একটা সম্পর্ক ধরে রাখার চেয়ে আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়াই মঙ্গলজনক।’

ভক্তদের উদ্দেশে তারা বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি যে, এটা আপনাদের খুব খারাপ লাগবে। সেজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা সবসময় নিজেদের সম্পর্ক সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে বজায় রেখেছিলাম, ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। আমরা আশা করি, আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।’

তাহসান মিথিলার পরিচয় গানের মাধ্যমে। তাহসান তখন ব্ল্যাক ব্যান্ডের গায়ক। এক বন্ধুর সঙ্গে তাহসানের আড্ডায় গান শুনতে যান মিথিলা। এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক পরিণয়ে গড়ায়। ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট এক সুতোয় বাঁধা পড়ে তাহসান-মিথিলার জীবন। তাহসান-মিথিলার একমাত্র কন্যা সন্তানের নাম আইরা তাহরিম খান।

যুগান্তর

Next Post

মেয়র পত্নী রেনী বলেন, শেখ হাসিনা নারীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী, তাই দিনে দিনে নারীরা উন্নয়ন করছে।

মঙ্গল মার্চ ১৯ , ২০১৯
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ এসএমই উদ্যোক্তা উন্নয়ন কার্যক্রম, ঐক্য সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী ও নারীনেত্রী শাহীন আকতার রেনী বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অন্তর থেকে স্যালুট জানাই। কারণ তিনি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই মনে করেছেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী, এই নারীদের যদি সচল না করি বাংলাদেশ এগোবে না। এই ধারণা থেকেই তিনি […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links