আভা ডেস্ক’ ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্লেন এএন-৩২ নিখোঁজের সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের দায়িত্বে ছিলেন পাইলটের স্ত্রী। কন্ট্রোল টাওয়ারে বসেই স্বামীকে নিখোঁজ হয়ে যেতে দেখেন তিনি।
গত সোমবার (৩ জুন) আসামের জোরহাট বিমানঘাঁটি থেকে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই নিখোঁজ হয় প্লেনটি। এতে পাঁচ যাত্রী ও আট ক্রুর মধ্যে ছিলেন পাইলট আশিষ তানোয়ার। আজও তাদের সন্ধান মেলেনি।
আশিষের মা সরোজ তানোয়ার বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, আমার ছেলে ও তার স্ত্রী সন্ধ্যা গত মাসে বাড়ি এসেছিল। এরপর তারা থাইল্যান্ডে যায় এক সপ্তাহের ছুটি কাটাতে। আশিষ বলেছিল, সে তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে। কিন্তু চারদিন হয়ে গেছে। এখনো তার কোনো খবর নেই।
মায়ের বিশ্বাস, ছেলে আর নিজ দেশে নেই। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত, প্লেনটি সীমান্ত পার হয়ে চীনে চলে গেছে। তাকে ফিরিয়ে আনতে সরকার চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কেন আপস করছে না? তাদের খোঁজে অনুসন্ধান চলছে। আবার বলা হচ্ছে, তারা নাকি খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্লেনটি শনাক্ত করতে পারছেন না।
নিখোঁজের দিন প্লেনটি মাত্র ৫০ মিনিটের পথ পাড়ি দিয়ে অরুণাচল প্রদেশের মেচুকা অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডে অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু উড্ডয়নের আধা ঘণ্টা পরই দুপুর ১টার দিকে প্লেনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর সন্ধানে এমআই-১৭, এএলএইচ হেলিকপ্টারসহ সুখোই-৩০ ও সি-১৩০জে যুদ্ধবিমান নামিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী।
তবে, এসবে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না পাইলটের পরিবার। আশিষের দূরসম্পর্কের চাচা উদয়বীর সিং বলেন, পূর্বাঞ্চলে চার লাখের বেশি সেনা সদস্য আছে। আমাদের ছেলেকে খুঁজতে তাদের কেন নামানো হচ্ছে না? প্লেনটি চীনে চলে গেছে কি-না সেটাও দেখা দরকার।
উদয়বীর জানান, তাদের পরিবারের প্রায় সবাই বিমানবাহিনী, না হয় সেনাবাহিনীর সদস্য। এ কারণে, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে আশিষ ২০১৩ সালে বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। ২০১৫ সালে পাইলট হন তিনি। স্বামীর মতো আশিষের স্ত্রী সন্ধ্যা তানোয়ারও বিমানবাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট।
বি/এলএস