বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতি কাজের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেতুমন্ত্রী ।

আভা ডেস্কঃ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ধীরগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনোমিক কো-অপারেশন সাসেক এর আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। সেতুমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সাসেক-২ প্রকল্পের চলমান কাজে আছে সুস্পষ্ট ধীরগতি। করোনাকালকে এখানেও প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। করোনার প্রথম দিকে কাজ চলেছে শম্বুকগতিতে।  বলা হয়েছে বন্যার কথা। বন্যা সাময়িক একটা বিষয়। আবার বলা হয়েছে পাথরের ক্রাইসিস।

৮টি প্যাকেজের মধ্যে ৭টির কাজ চলমান। মাত্র ২১ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে এ পর্যন্ত। এভাবে চলতে থাকলে কত বছরে শেষ করবে এ প্রকল্প? কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছবে প্রকল্প ব্যয়?

প্রকল্প কর্মকর্তাদের কারো কারো কাজের প্রতি কমিটমেন্ট এর অভাব আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কয়েকজন প্রজেক্ট ম্যানেজার ছাড়া অন্যরা এবং তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীরা কোথায় অফিস করেন আমি প্রধান প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাই? তারা ঢাকায় কেন থাকবেন? প্রকল্পের কাজ কোথায় হচ্ছে আর কর্মকর্তা-প্রকৌশলীরা কোথায়?

‘আমার ধারণা, প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির বড় একটি কারণ প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাইট এলাকায় অবস্থান না করা।  তাহলে কী  প্রজেক্ট ম্যানেজাররাই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে? এ বিষয়গুলো কী চিফ ইঞ্জিনিয়ার মনিটর করেন না?

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন প্যাকেজে ঠিকাদাররা কাজ করার জন্য প্রস্তুত কিন্তু জমি বুঝে পাচ্ছেন না। ইউটিলিটি শিফটিং হচ্ছে না। স্থানে স্থানে সরানো হচ্ছে না ইলেকট্রিক পুল। তাহলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কী করছেন? কতবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করেছেন? তাদেরও তো হাজারটা কাজ আছে, আপনার কাজটাতো আপনাকেই বের করে আনতে হবে।

‘সহযোগিতা না পেলে জেলা প্রশাসকের ওপর বিভাগীয় কমিশনার আছে, মন্ত্রণালয় আছে, সচিব আছেন। আপনারা অধীগ্রহণের সমস্যা সমাধানের বিষয় কী প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় আলোচনা হয় না? আমাকে অনেকে বলে, কীভাবে প্রকল্প দীর্ঘায়িত করা যায় আর ব্যয় বাড়ানো যায়, সে হিসাবটাই অনেকে কষেন। আমি বিষয়টি এভাবে না দেখলেও কারো কারো গাফিলতি এবং গা-ছাড়া ভাব দেখতে পাই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এর আগে সচিবকে বলেছিলাম, সারা দেশে যেসব প্রকল্প জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় পিছিয়ে আছে, সেসব সমস্যা সমাধান ও সমন্বয় করতে মন্ত্রণালয়ে একটি কমিটি করার জন্য।  ইতিমধ‌্যে জানতে পেরেছি ভূমি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। এখন আপনারা বিশেষ করে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়গুলো এগিয়ে নিন।

এ সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি বলেন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে তো আপনাদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয় না এখন।  আগের কথা ভাবুন, কত বছর বয়সে নির্বাহী প্রকৌশলী হতেন? আর এখন? অন্যান্য ক্যাডার সার্ভিসের সঙ্গে তুলনা করে দেখুন। সিনিয়রিটি অনুসরণ করেই প্রধান প্রকৌশলী দেওয়া হচ্ছে।  প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি হবে।  দেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থের অপচয় হবে, তা কী প্রত্যাশিত।

‘আমি আশা করব, আপনারা নিজস্ব ফোরামে এ বিষয়গুলো ভেবে দেখবেন, আলোচনায় আনবেন।  আর যার যার কর্মস্থল যেখানে সেখানে অবস্থান করতে হবে।  আমি এ বিষয়ে সচিবকে একটি আদেশ জারির নির্দেশনা দিচ্ছি।  দক্ষতা এবং ভালো কাজের জন্য নিশ্চয়ই পুরস্কৃত হবেন।

 

Next Post

"হাওর পযটন" উন্নয়নের ঘোষণা প্রতিমন্ত্রীর ।

বৃহস্পতি সেপ্টে. ১০ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ দেশে হাওর ভিত্তিক পর্যটন উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া  হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি বলেন, পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন শেষে এ বিষয়ে  বিস্তারিত কার্যক্রম নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় পর্যটনকে সম্পৃক্তকরণ ও পর্যটন সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links