নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন বিএনপি পূর্ব থেকেই একটি সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত দল। বর্তমানে আরো সুসংগঠতি হয়েছে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে বিএনপি’র অবস্থা আরো ভালো হচ্ছে। বিএনপি প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত জেনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘৃন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা আইনশৃংখলা বাহিনীকে দিয়ে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলা ও গ্রেফতার করছে। সেইসাথে বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী সেন্টার ভাঙচুর করছে। পোস্টার, ব্যানার ও ফ্যাস্টুন ছেঁড়া অব্যাহত রয়েছে। বুলবুল বলেন, যতই বাধা ও নির্যাতন বিএনপি নেতাদরে উপর আসুক না কেন বিএনপি নির্বাচন বয়কট করবে না। সোমাবার সকালে রাজশাহী নগরীর ১০,১১ ও ১৩ নম্বর এবং বিকেলে ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা। এখানে ধানের শীষ ছাড়া জনগণ অন্যকোনো প্রতীক চিন্তা করতে পারে না। কিন্তু আওয়ামী লীগের ভয়ভীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে সাধারণ ভোটারগণ ভয় করছিলেন। কিন্তু বিএনপি’র গণজোয়ার ও গণমিছিল দেখে জনগণের মধ্যে আরো সাহস সঞ্চার হয়েছে। তারা এখন আওয়ামী লীগ আর ভয় পায়না। সরকারী দল কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নির্বাচনের দিন এবং এখন লিপ্ত হয় তাহলে জনগণ সমোচিত জবাব দেবেন বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, কালো টাকা ছড়িয়েও কোন লাভ হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। খায়রুজ্জামান লিটনের আমলে রাজশাহী সিটিতে কোনো প্রকার উন্নয়ন হয়নি। সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনুর আমলে পাসকৃত প্রকল্প তিনি শুধু বাস্তবায়ন করেছেন। সিটিকে সাজানোর জন্য নতুন কোন ধারনা তার মাথায় ছিলোনা এখনো নাই। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি ও এডুকেশন সিটিকে সরকারী দলীয় মেয়র প্রার্থী বদলিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক ব্যবসা ও টেন্ডার বাজি করে সিটির সুনাম নষ্ট করার জন্য বদলাতে চান তিনি। তার এই চাটুকারী ও ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দিয়ে উন্নয়ন ও শান্তির প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিয়ে সিটির উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করেন বুলবুল।
তিনি আরো বলেন, পূনরায় বিজয়ী হলে বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে ক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও কারিগরী প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা সহ আরো নানা ধরণের কার্যক্রম গ্রহন করবেন। সেইসাথে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন। এছাড়াও ২০৫০ সাল নাগাদ রাজশাহীকে বিশ্বের অন্যতম সিটিতে পরিণত করা হবে। সেইসাথে ট্যাক্সের বোঝা কমিয়ে আনা হবে।
সুষ্ঠ ভোট হওয়ার স্বার্থে নেতাকর্মীরা প্রতিটি কেন্দ্র কঠোরভাবে পাহারা দেবেন। সেইসাথে ভোটের ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র হতে বের হবেন পোলিং এজেন্টরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ধানের শীষের বিজয়ের মধ্যে দিয়ে আগামীতে রাজশাহী থেকে বেগম জিয়ার মুক্তি ও হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে উল্লেখ করেন নেতাকর্মীরা।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, পুঠিয়া দূর্গাপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তাফা, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাইদুর রহমান পিন্টু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি সহ অত্র ওয়ার্ড গুলোর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারাণ সম্পাদক, শুধিজন, সমাজসেবক, বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং সহস্রাধিক সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।