বাঘা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় পৃথকভাবে বনভোজনের বাস, মোটরসাইকেল ও ভ্যানের মধ্যে ত্রীমুখি সংঘর্ষে ঠিকাদারে সহকারি হাবিবুর রহমান মঞ্জু নামের এক যুবক নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আমোদপুর নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় বাসের সুপার ভাইজার সুলতান আলীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পিতা হায়দার আলী বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আটক বাসের সুপার ভাইজার সুলতান আলীর বাড়ি নওগাঁ সদরে
জানা যায়, নওগাঁ থেকে ঢাকা। মেট্রো-ড-১৪-০১০০ নম্বরের সোনারতলী নামের একটি বাস বনভোজনের ভাড়া নিয়ে বাঘা এলাকায় আসছিল। বাসটি শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আড়ানী-বাঘা সড়কের আমোদপুর এলাকা অতিক্রম করতে গিয়ে বাস, মোটরসাইলে ও ভ্যানের মধ্যে ত্রীমুখি সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে বাঘা এলাকার আফাজ-মন্টু ঠিকাদের সহকারি মোটরসাইকেল আরোহী হাবিবুর রহমান মঞ্জু (২৫) গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎস তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাড়ি উপজেলার কলিগ্রামে।
এদিকে সাবাজ আলী নামের একজন ভ্যান চালক দুই জন যাত্রী নিয়ে বাঘা উপজেলার দিকে যাওয়ার সময় একই বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যান চালক সাবাজ আলী (৪০) সহ তিনজন আহত হয়েছে। ভ্যান চালক চারঘাট উপজেলার পাঁন্নাপাড়া গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে। যাত্রী উত্তর মিলিবাঘা গ্রামের শাহা আলীর ছেলে রমজান আলী (২৫) ও দক্ষিণ মিলকি বাঘা গ্রামের বিরাল্লার ছেলে আশব আলীকে (২৫) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ভ্যান চালকের অবস্থা গুরুতর হওয়া কর্মরত ডাক্তার তাকে তাৎক্ষনিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
অপরদিকে ৩ জন শ্রমিক ইট ভাঙ্গা ট্রলি নিয়ে উপজেলার হাটবাউসা এলাকায় যাচ্ছিল। এ সময় ট্রলির চাকা খুলে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে তারা গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলেন চারঘাট উপজেলার রায়পুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে সুজন আলী (২৫), রমজান আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৩৫), আকসেদ আলীর ছেলে আলতাফ হোসেন (৪০)। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঘা থানার ওসি (তদন্ত )আবদুল বারি জানান, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল থেকে বনভোজনের বাস, মোটরসাইকেল, ভ্যান, ও পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।এই ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। দূর্ঘটনার কারন উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।