বাগমারা তৃণমূল আওয়ামী লীগের হ্যামিলিওনের বাঁশিওয়াল মেয়র কালাম 

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস এবং শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন সাফল্য নিয়ে, তৃণমূল আওয়ামী লীগকে নিয়ে বিশাল বিশাল শোক সমাবেশ করে চলেছেন পুরো বাগমারা জুড়ে তাহেরপুর  পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, তাহেরপুর পৌরসভার তিন তিনবারের সফল মেয়র, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী- ৪ (বাগমারা) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
৩১ শে আগষ্ট  বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তৃণমূল আওয়ামী লীগের বিশাল শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শোক সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন  ইউনিয়ন হতে তৃণমূল আওয়ামী লীগের ঢল লক্ষ করার মতো। সমাবেশ আগত তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতারা বাগমারা আসনের এমপি এনামুল হকের নানা অপকর্ম, অনিয়ম, দুর্নীতি, চাকুরী বাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারি সহ তৃণমূল আওয়ামী লীগের সাথে কোন সম্পৃক্ততা না রেখে জামাত-শিবির, জিএমবি, সর্বহারা নিয়ে তৈরি আওয়ামী লীগ করার কথা উঠে আছে এই শোক সমাবেশে। অপরদিকে গোয়ালকান্দি ইউপি প্রতিষ্ঠাকাল থেকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান পরিবার, এই পরিবারের বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার, যার বাবা চেয়ারম্যান ছিলেন, দাদা চেয়ারম্যান ছিলেন, ভাই চেয়ারম্যান ছিলেন, যার ভাইকে সর্বহারারা প্রকাশ্যে দিবালোকে জবাই করে হত্যা করে। শত বাধা পেরিয়ে এই পরিবার গোয়ালকান্দি ইউপির জনগণের পাশে আছেন।আলমগীর সরকার গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগ করেন তারা বর্তমানে আওয়ামী লীগের কোন পদে নেই আলমগীর সরকার তার বাস্তব উদাহরণ। অথচ তিনি আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও বর্তমান নৌকা প্রতীকের বিজয়ী চেয়ারম্যান। গত কয়েকদিন আগে গোয়ালকান্দি  স্কুল মাঠে তৃণমূল আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে এক শোক সভায়  বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক গোলাম সারোয়ার আবুল এর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও এমপি এনামুল হক চেয়ারম্যান কে  হুমকির  দেওয়ার  প্রতিবাদ জানান তৃণমূল আওয়ামী লীগ। উপজেলার মাঠ দখলে শক্ত অবস্থানে আছেন বাগমারার তৃণমূল আওয়ামী লীগ।
এদিক থেকে উন্নয়ন প্রচারে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন বর্তমান এমপি এনামুল হক। প্রতিটি সমাবেশে ব্যাপক লোকসভা গম দেখাতে সক্ষম হচ্ছেন তাহেরপুর পৌরসভা থেকে তিনবার নির্বাচিত মেয়র আবুল কালাম আজাদ।
গত ২২ আগস্ট (মঙ্গলবার) বেলা ৩ টায় হাট গাঙ্গোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে উক্ত শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তৃণমূল আওয়ামী লীগের, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ব্যাপক উপস্থিতি ঘটিয়েছেন মেয়র আবুল কালাম আজাদ। মানুষের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মেয়র আবুল কালাম আজাদ চাচ্ছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগ। এবার  তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে  নৌকার মনোনয়ন চাইবেন। তিনি পারেন এই আসনের নৌকা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে ।
গোপনে অনুসন্ধান চালিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত জানার জন্য একটি টিম কাজ করে। আর সেখানে মেয়র আবুল কালাম আজাদের জনপ্রিয়তা শীর্ষে  রয়েছেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এতে করে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এমপি মেয়র পুরনো দ্বন্দ্ব।
গত ২২ আগস্ট মঙ্গলবার উপজেলার গাঙ্গোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নিয়ে বাগমারার ইতিহাসে এই প্রথম প্রায় ২০ হাজার লোকসমাগমের মধ্যে দিয়ে বিশাল শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন,রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও এডভোকেট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন। বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী আয়োজিত শোক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও মানব সম্পদ উপ-কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও উপদেষ্টা রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ প্রফেসর ড.পি এম সফিকুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ,তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবু বাক্কার মৃধা মুনসুর,তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ এসএম জিয়া উদ্দিন টিপু, তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান বিপ্লব, শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধা,গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার, গোবিন্দপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সুরাত আলী, আউচপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাহাতাব উদ্দিন মাতু, বাসুপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মহসিন আলী, যোগীপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রমুখ এছাড়াও শোক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
সমাবেশে তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ বলেন, উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বর্তমান সরকারের সময় দেশে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উন্নয়নের এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে পুনরায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। কারণ বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে আবারো সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাস, বোমাহামলা আর জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবে এবং যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছিল, যাদের সময় বিদ্যুৎ আর সারের জন্য মানুষ হত্যা করা হয়েছিল, যারা দুনীতিতে পর পর ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না’। আওয়ামী লীগ বিরোধী চক্র এখনো মাঠে সক্রিয় ভুমিকায় আছেন। বিএনপিকে খুন, গুম, আগুন সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এদেশে খুনীদের রাজত্ব আর চলবে না। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যায় জড়িত থাকায় জিয়া পরিবারকে ‘খুনী পরিবার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পাশাপাশি গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরেরও দাবি জানান তিনি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রচেষ্টা চালায়।সে দিনের হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর শ্রবনেন্দ্রিয় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নেতা-কর্মীদের মানব ঢাল প্রাণে বাঁচায় তাঁকে। কিন্তু নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২২ নেতা-কর্মী নিহত এবং প্রায় এক হাজার জন আহত হন। যার মধ্যে ৫ শতাধিক গুরুতর আহত হন।
শোক সমাবেশে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকার মানেই উন্নয়নের সরকার। দেশের মানুষ এখন শান্তিতে আছে৷ দেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করছে, তখন একটি মহল কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে বিশ্ব দরবারের খারাপ বানানোর পায়তারা চালাচ্ছে। তাঁরা সব সময় এদেশের মানুষের ক্ষতি চেয়েছেন। দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করেছেন। সেই উন্নয়ন বিরোধী চক্র জামায়াত-বিএনপি এখন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তাদের এই অপপ্রচার রুখে দিতে আমরাও প্রস্তুত। পরে বঙ্গবন্ধুর আত্মার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা শেষে  সন্ধায় ৬ হাজার নেতাকর্মীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

Next Post

রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নির্বাচন কমিটি গঠন ও তফশীল ঘোষণা

শনি সেপ্টে. ২ , ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের ১১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফশীল ঘোষণা এবং বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নিজস্ব কার্যালয়ে বিকাল সাড়ে ৪ ঘটিকায় উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের বর্তমান ২০২১-২০২৩ নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্তের ঘোষণা পত্র নব […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links