রাজশাহীতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।

সমাবেশ থেকে আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সমতল আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও স্বাধীন ভূমি কমিশন গঠনসহ ৯ দফা দাবি জানানো হয়। জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।

তিনি আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, সমতল আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও স্বাধীন ভূমি কমিশন গঠন, আদিবাসীদের নিরাপত্তা বিধান, সকল আদিবাসী জাতিসত্তার শিশুদের নিজ মাতৃভাষায় প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাদান, সরকারি চাকরিতে কোটা পূনর্বহাল, বাজেটে সমতল আদিবাসীদের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ, আদিবাসী সাংস্কৃতিক একাডেমিগুলোতে আদিবাসী উপ-পরিচালক ও জনবল নিয়োগসহ আদিবাসীদের উপর সকল প্রকার নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, মিথ্যা মামলা, জবরদখল উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানান।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য খ্রিস্টিনা বিশ্বাস, উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক গণেশ মার্ডি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, দপ্তর সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মানিক সরেন, সদস্য রাজকুমার শাঁও, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নকুল পাহান প্রমূখ।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিভূতী ভূষণ মাহাতো, বাংলাদেশ রবিদাস উন্নয়ন পরিষদের জেলার সভাপতি রঘুনাথ রবিদাস, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সাবিত্রী হেমব্রম, সাধারণ সম্পাদক তরুন মুন্ডা, কোষাধ্যক্ষ অনিল রবিদাস, আদিবাসী যুব পরিষদের সদস্য উত্তম কুমার মাহাতো, আদিবাসী নারী পরিষদের নেত্রী কল্পনা তির্কী প্রমূখ।

উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালকে জাতিসংঘ ‘আদিবাসী বর্ষ’ ঘোষণা করলে তৎকালিন বিএনপি সরকার ঘোষণা দেয় যে, বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই। একই সময় রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাবইলডাইং গ্রাম গুড়িয়ে দেয় ভূমিদস্যু ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা। এতে প্রায় ৫০টি আদিবাসী সাঁওতাল পরিবারের বাড়িঘর গুড়িয়ে দেয়। এতে আদিবাসীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং জোরদার আন্দোলনের ফলে রাষ্ট্র সেখাকার আদিবাসীদের নিজ জমিতে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।

এরপর ১৯৯৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারের আদিবাসী বিরোধী বক্তব্য ও তানোরে সাঁওতাল গ্রাম উচ্ছেদের প্রতিবাদে ৯ দফা দাবির ভিত্তিতে রাজশাহীর এক আদিবাসী গ্রাম থেকে ‘জাতীয় আদিবাসী পরিষদ’ নামের এই সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। আদিবাসীদের স্বার্থ সংরক্ষণ রাখা সংগঠনের উদ্দেশ্য।

 

Next Post

নন্দীগ্রামে বাম্পার ফলনের আশায় মরিচ চাষে ব্যস্ত কৃষক

বৃহস্পতি সেপ্টে. ৩ , ২০২০
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ কৃষি ভান্ডার খ্যাত বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বাম্পার ফলনের আশায় মরিচ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে মরিচ চাষিরা। বিগত বছরের তুলনায় এবছর এ উপজেলায় মরিচ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। মরিচ ক্ষেতে মরিচের গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের তেঘরী মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links