আভা ডেস্কঃ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ‘ কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট ‘ হিসেবে অভিষিক্ত হলেন সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোর এর অন্তর্গত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ( বীর ) এর ৬ষ্ঠ কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হলেন- সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি , এনডিইউ , পিএসসি , পিএইচডি ।
আজ রোববার (৩ অক্টোবর) রাজশাহী সেনানিবাসস্থ শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে মনমুগ্ধকর ও ঐতিহ্যবাহী এই অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় । এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসাবে সেনাবাহিনী প্রধান ঐতিহ্যবাহী সামরিক রীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর “রেজিমেন্ট অব দি মিলেনিয়াম” এর অভিভাবকের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ।
অনুষ্ঠানে সেনাসদর, আর্মি ট্রেনিং এ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, স্থানীয় ফরমেশন এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন পদবীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । প্যারেড স্কয়্যারে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধানকে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন জানানো হয় এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের একটি চৌকষ দল তাকে ‘ গার্ড অব অনার প্রদান করে ।
এরপর বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের জ্যেষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার সেনাবাহিনী প্রধানকে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টর ‘ কর্নেল ব্যাংক ব্যাজ ‘ পরিয়ে দেন । অভিষেক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তার দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন । পরে তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অদ্ভুৎসর্গকারী বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের বীর শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘ বীর গৌরব ‘ এ পুষ্পস্তবক অর্পন করেন । অনুষ্ঠান শেষে সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ১৬তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন।
এই রেজিমেন্টের উন্নয়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও দেশে – বিদেশে পরিচালিত কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় করেন । তিনি বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় এই রেজিমেন্টের অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে রেজিমেন্টের সকল সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান । সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ‘ কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট ‘ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে এই রেজিমেন্টের সদস্যদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি এবং রেজিমেন্টের প্রতিটি সদস্যের মাঝে আগামী দিনে দেশসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।