আভা ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বহির্বিভাগের আগাম টিকিট কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির রেশ ধরে হামলা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কিছু শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, আনসার, ড্রাইভার-কর্মচারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাবির কয়েক শিক্ষার্থী বিএসএমএমইউ’র বহির্বিভাগ থেকে ওইদিনসহ পরবর্তী দিনের টিকিট চান। কিন্তু পরবর্তী দিনের টিকিট আগাম দিতে না চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এরই জের ধরে তারা লাঠিসোটা নিয়ে বিএসএমএমইউ’র একটি অ্যাম্বুলেন্স, একটি বাসসহ কমপক্ষে আটটি গাড়ি ভাঙচুর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের প্রধান ফটকের কাঁচের দরজা সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দেয়।
এ সময় রোগী, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। এ ঘটনার ভিডিও বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
শনিবার সামগ্রিক বিষয়ে জানিয়ে শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বিএসএমএমইউ’র প্রোক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, ২৭ ফেব্র“য়ারি দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পিয়াস, সাব্বির, নাঈম ইসলাম, সাগর শাহরিয়ার নিয়মবহির্ভূতভাবে টিকিট চাওয়া নিয়ে পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. খালিদ হোসেনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় বিএসএমএমইউ’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন ওই চার শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকের (হাসপাতাল) কক্ষে নিয়ে যান। পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক বিষয়টির সমাধান করেন।
কিন্তু পরিচালকের কক্ষ থেকে বেরিয়ে ওই চার শিক্ষার্থী সি-ব্লকের সামনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেনকে মারধর করে আহত করে। এসময় বিএসএমএমইউ’র কর্তব্যরত আনসার সদস্যসহ অন্যরা এগিয়ে এসে ওই চার শিক্ষার্থীকে পুনরায় পরিচালকের কক্ষে নিয়ে যান।
এ ঘটনার খবর বিএসএমএমইউ’র পক্ষ থেকে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে জানালে ঢাবির ২ সহকারী প্রক্টর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীমউদ্দীন হলের ভিপি মো. ফরাদ অত্র পরিচালকের অফিসে আসেন।
এ ঘটনার খবর শাহবাগ থানায় অবহিত করা হয়। পরে শাহবাগ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, সহকারী প্রক্টর কেএম তারিকুল ইসলামসহ ঢাবি কর্তৃপক্ষ উদ্ভূত পরিস্থিতি ও বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনায় বসেন।
আলোচনারত অবস্থায় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাবির কবি জসীমউদ্দীন হলের ২৫-৩০ শিক্ষার্থী সশস্ত্র অবস্থায় বিএসএমএমইউ’র ১ ও ২ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করে গাড়ি ভাঙচুর করে এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ড্রাইভার ও কর্মচারীসহ কমপক্ষে ২০ জনকে পিটিয়ে আহত করে।