নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে চালু হওয়া বিরতিহীন ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেসে’ টিকিটের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে খাবারের মূল্য আদায় বাতিল চেয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। রবিবার তিনি খাবারের সীমাবদ্ধতা বাতিল চেয়ে চিঠি দিয়েছেন।
এদিকে বনলতায় খাবারের সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সিরাজুল ইসলাম জানান, বনলতায় খাবারের দাম টিকিটের সঙ্গে কেটে কেটে নেওয়া বিষয়টি নিয়ে পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম রবিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। রাজশাহীর একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই চিঠি দেন।
জানা গেছে, বনলতার খাবারের দাম নিয়ে মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে শাহরিয়ার আলম নিজ উদ্যোগে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। সেইসঙ্গে তিনি খাবারের দাম পুন:বিবেচনার জন্যও অনুরোধ করেন। যেন খাবারের দাম টিকিটের সঙ্গে প্রদান করতে বাধ্য করা না হয় যাত্রীদের।
অন্যদিকে গতকাল রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস রাজশাহীবাসীর বহুল প্রত্যাশিত একটি ট্রেন। নির্বাচনের আগে আমার ৪৪ দফার অন্যতম ছিলো এই ট্রেন চালুর প্রতিশ্রুতি।
কিন্তু ট্রেনে দেড়শ টাকার বাধ্যতামূলক খাবারের বিষয়টি অপ্রয়োজনীয়। এই সিদ্ধান্তের কারণে অনেকেই ট্রেনটির ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। কাজেই যাত্রীদের স্বার্থে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সর্বাধুনিক ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন। এই ট্রেনে যাত্রীদের একটি করে কেক, একটি বার্গার, একটি সিঙ্গাড়া এবং ৫০০ মিলিলিটারের পানির বোতল সরবরাহ করা হয়। এ জন্য টিকিটের মূল্যের সঙ্গেই অতিরিক্ত ১৫০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। ফলে প্রতিটি শোভন চেয়ারের দাম পড়ছে ৫২৫ টাকা। আর এসি চেয়ারের দাম পড়ছে ৮৭৫ টাকা। কিন্তু বাধ্যতামূলক এই খাবারের মাণ নিয়েও দেখা দিয়েছে যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ।