পাতানো অংশগ্রহণ মূলক ভোট, ভয়ে ভোটাররা- স্বপন

নিজস্ব প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন একটি পাতানো অংশগ্রহণ মূলক ভোট। আ’লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আ’লীগ, নাম সর্বস্ব দলের প্রার্থী দিয়ে একটি নির্বাচন করছে সরকার। এবারের নির্বাচন শতভাগ ফ্রী আন্ড ফেয়ার হবে না, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা না থাকে। এমনিতে সাধারণ ভোটাররা আছেন আতংকে। এমনটাই বললেন রাজশাহী-২ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন।
২১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩:৩০ মিনিটে রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাৎকার কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন মিন্টু।
লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল বলেন, গণতন্ত্রের নামে দেশে অত্যাচারি স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এখন দেশের মানুষ বাঁচতে চায়। আমরা দেশের মানুষকে একটি নতুন বাংলাদেশ উপহার দিবো। এবার সারা দেশে প্রার্থী দিয়েছে দল। সারাদেশ থেকে বিপুল ভোটে আমরা জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবো ইনশাআল্লাহ। এসরকার দেশে গণতন্ত্র রাখেনি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা রাখেনি। জনগণে দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতিতে জীবন ওষ্ঠাগত। উন্নয়নের নামে লুটপাট করা হয়েছে দেশের টাকা। এবার দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। এ পরিবর্তনের হাওয়া রাজশাহীতেও লেগেছে। ফ্রী এন্ড ফেয়ার ভোট হলে রাজশাহী-২ আসনে লাঙ্গল ব্যপক ভোটে জয়ী হবে।
স্বপন আরও বলেন, নির্বাচনে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকায় থেকে কাজ করতে হবে। নির্বাচনে সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। দেশে নির্বাচনের নামে সিলেকশন চলছে। দেশের মানুষ ইলেকশনের নামে সিলেকশন চায় না। ভোটের নামে চেয়ার ভাগবাটোয়ারা হচ্ছে৷ বর্তমানে চাইলেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। উন্নয়নের নামে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে লুটেরা। কৃষি প্রধান একটি দেশে কৃষি অবকাঠামো ভেঙে ফেলে বিদেশী পন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে দেশ। রাজশাহীতে কৃষি উন্নয়নে কাজ করতে চাই। মাদক নির্মূলে কাজ করতে চাই। বেকার সমস্যা সমাধানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই।
উন্নয়ন মানে শুধু অবকাঠামোর উন্নয়ন না, প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের দেশে হয়রানী করা হচ্ছে তা বিভিন্ন দেশে আলোচিত হচ্ছে।
এসময় রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন মিন্টু বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে যদি সচ্ছ নির্বাচন হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি শতভাগ জয়ী হবে। এর মুল কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পল্লী বন্ধু হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এ দেশের মূল অবকাঠামো গঠনে বড় বড় ভুমিকা পালন করেছে। রাজশাহী’র মুল অবকাঠামো উন্নয়নের শুরুটা তাঁর আমলে হয়েছে। প্রধান প্রধান অফিস আদালত, রাস্তাঘাটসহ অনেক জনপদের উন্নয়ন হয়েছে সে সময়ে। ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে এই স্লোগান পল্লী বন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিটি গ্রাম অবকাঠামো উন্নয়ন করছেন। এখনো মানুষ লাঙ্গল প্রতীকের পাগল। রাজশাহীতে নৌকা কাটবে ক্যাচি আর মানুষ ভোট দিবে লাঙ্গলে।

Next Post

নন্দীগ্রামে বিভিন্ন বাজারে ১৪দলীয় জোট প্রার্থী তানসেন'র গণসংযোগ

শুক্র ডিসে. ২২ , ২০২৩
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে ২২শে ডিসেম্বর (শুক্রবার) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ৩৯, বগুড়া-৪ আসনের অন্তর্গত নন্দীগ্রাম উপজেলার ওমরপুরহাট বাজার, নন্দীগ্রাম বাজার, কাথম, চাকলমা বাজার, কালিশ-পুনাইল, গছাইল ও বিজরুল বাজারে (নৌকা) প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন বগুড়া জেলা জাসদের সভাপতি, কেন্দ্রীয় জাদসের সহ-সভাপতি, ১৪দল মনোনীত প্রার্থী বীর […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links