আভা ডেস্ক : পাকিস্তানে নির্বাচনের ঠিক দু’দিন আগে আত্মঘাতী বোমা হামলায় আরেক প্রার্থী নিহত হয়েছেন। দেশটির সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রার্থী ইকরামুল্লাহ গান্দাপুর নিহত হয়েছেন।
রোববার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় পিটিআই দলের সমাবেশে কয়েক দফা বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এ দুর্ঘটনায় আরও নিহত হয়েছেন ইকরামুল্লাহর গাড়িচালক। আহত হয়েছেন তার দেহরক্ষী ফারাজ মুঘলসহ আরও ১১ জন। খবর ডনের।
আগামী বুধবার (২৫ জুলাই) পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের আশা করছেন ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া পিটিআইপ্রধান ইমরান খান। স্থানীয় দুই পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, খাইবার পাখতুনখাওয়ার কুলাই এলাকায় পিটিআইর রাজনৈতিক সমাবেশে কয়েক দফা বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে।
পিটিআই প্রার্থী ইকরামুল্লাহর গাড়ি লক্ষ্য করে ওই হামলা হয়। ঘটনাস্থলে নিহত হন তার গাড়িচালক। বোমার বিস্ফোরণে আহত হলে প্রথমে ইকরামুল্লাহকে জেলার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে নেয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। সেখানে অপারেশন থিয়েটারে নিহত হন ইকরামুল্লাহ।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার দেরা ইসমাইল খান পিকে-৯৯ প্রাদেশিক আসনের প্রার্থী ছিলেন তিনি। ইকরামুল্লাহ পিটিআইয়ের নেতৃত্বাধীন খাইবার পাখতুনখাওয়া মন্ত্রিসভায় প্রাদেশিক কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ভাই আইনমন্ত্রী ইসরারুল্লাহ গান্দাপুর আগে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হওয়ার পর উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন ইকরামুল্লাহ।
পুলিশ কর্মকর্তা জহুর আফ্রিদি বলেছেন, হামলায় ইকরামুল্লাহ গান্দাপুর নিহত হয়েছেন। আমরা তার ময়নাতদন্ত করছি। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। পিটিআইয়ের প্রধান ইমরান খান এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের এক অনুগত প্রার্থীকে হারিয়ে শোকাহত। আমরা ইকরামুল্লাহ ও তার পরিবারের জন্য মর্মাহত।’
পাকিস্তানের নির্বাচনকে সামনে রেখে এক মাসের মধ্যে কয়েক দফা আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। ১৪ জুলাই বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির প্রার্থী সিরাজ রাইসানির সমাবেশে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটে। এতে সিরাজ নিজেও নিহত হন। ওই আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১৪৯ জনের প্রাণহানি ঘটে।
যুগান্তর