আভা ডেস্কঃ পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজে স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন স্টাইলিশ ওপেনার সৌম্য সরকার ও অলরাউন্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত।
এমন কঠিন একটি সফরে সৌম্যের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওঠাই স্বাভাবিক। লাল বলের সংস্করণে সৌম্যর ফর্ম চোখে পড়ার মতো তো নয়ই, উল্টো ফর্ম না থাকায় ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দলে সুযোগ হয়নি তার।
১৫ টেস্টে ৮১৮ রান রয়েছে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সৌম্যের।
তাই টেস্ট স্কোয়াডে সৌম্যকে কেন নেয়া হলো সে প্রশ্নে নির্বাচকমণ্ডলীর সমালোচনা করেছেন অনেকেই।
সে কারণে সৌম্যকে দলে নেয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন।
মিনহাজুলের ব্যাখ্যা এই যে, ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবেই দলে সৌম্যের ঠাঁই হয়েছে। চোটের কারণে পাক সফর থেকে বাদ পড়েছেন ভারতে বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজের দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও ইমরুল কায়েস। তাদের বদলে সৌম্য ও নাজমুল হোসেনকে দলে নেয়া হয়েছে।
মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘সৌম্যকে নেয়া হয়েছে ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে। চোটের কারণে সাদমান যেতে পারছে না। তাই সৌম্যকে না নেয়ার যুক্তি দেখছি না।’
দলে নাজমুলের অন্তর্ভুতির ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘ও তো আমাদের হাইপারফরম্যান্স ইউনিটে অনেক দিন ধরেই ছিল। সেখানে ভালো করেছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেছে। এখন আশা করি টেস্টে ভালো করবে।’
প্রধান নির্বাচকের এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্টি হতে পারেননি অনেক ক্রিকেটবোদ্ধা।
যদিও এবার বিপিএলে দারুণ খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশি ওপেনারদের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেট ছিল সর্বোচ্চ। সেঞ্চুরিও করেছেন।
কিন্ত টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেললে টেস্টে ভালো পারফর্ম করা যাবে এমন ব্যাখ্যা মানতে রাজি নন কেউ কেউ।
কেননা টেস্টের মেজাজ সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের চেয়ে একেবারেই ভিন্ন।
এদিকে সৌম্য বিপিএলে মোটামুটি ভালো করলেও টেস্টে ধারাবাহিক হতে পারছেন না। টেস্টের সর্বশেষ ২০ ইনিংসে এক সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটি রয়েছে তার। ১২ টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ৩০.৯১।
এর পরও যে বিষয়টি বিশ্লেষকদের নজরে পড়েছে, তা হলো– পাকিস্তানের মাটিতে সদ্য অনুষ্ঠিত দুটি টি-টোয়েন্টিতে শেষে নেমেও কথা বলেনি তার ব্যাট। তার স্কোর ছিল- ৭ ও ৫ (নটআউট)।
প্রসঙ্গত পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন প্রথম টেস্টের জন্য ঘোষিত ১৪ সদস্যের দলে বাদ পড়েছেন সাদমান ইসলাম, ইমরুল কায়েস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ব্যক্তিগত কারণে পাকিস্তান সফরে না যাওয়ার ঘোষণা দেয়ায় দলে নেই মুশফিক। ইনজুরিতে রয়েছেন ইমরুল-মোসাদ্দেক। ফর্ম না থাকায় বাদ পড়েছেন মিরাজ-মোস্তাফিজ।
