নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পশ্চিম রেলের মহা-ব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলামকে বদলি করে রেল দপ্তরের অতিরিক্ত ডিজি পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের নতুন জিএম হিসেবে আসছেন হারুন-অর-রশিদ। অথচ তার চাকরির মেয়াদ আছে আর মাত্র দেড় মাস।
সূত্র মতে, খোন্দকার শহিদুল ইসলামকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি করার পরে তিনি এডিজি (অবকাঠামো) হিসেবে যোগদান করেছেন মঙ্গলবার। এদিনই তিনি ঢাকায় জাইকার সঙ্গে একটি বৈঠকেও অংশ নেন। তবে তার স্থলে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই হারুন-অর-রশিদের চাকরির মেয়াদ আছে মাত্র দেড় মাস।ফলে এই অল্প সময়ের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তিনি দায়িত্ব নিয়ে কিভাবে কাজ করবেন সেটি নিয়েই দেখা দিয়েছে সংশয়।
অভিযোগ উঠেছে, ঈদের পর থেকেই রাজশাহী স্টেশনে ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে ট্রেনের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে ঢাকায় যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। এমনকি ঈদের আগের দিন রাতের ধূমকেতু ট্রেনটি ছেড়ে যাচ্ছে পরের দিন সকালে বা ভোরে। আর রাতভর স্টেশনে বসে মশার কামড় খেয়ে সময় কাটাতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ নিয়ে চরম ক্ষোভও ছড়িয়ে পড়েছে যাত্রীদের মাঝে। কিন্তু তার পরেও ট্রেনের সিডিউল বিপির্যয় থামানো যাচ্ছে না। এমনকি থামানোর কোনো কার্যকরী পদক্ষেপও নিতে দেখা যাচ্ছে না। ঈদের আগে ও পরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে যে সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে তা স্মরণকালের ভয়াবহ বিবপর্যয় বলেও দাবি করেছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারাই।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্মকর্তাদের চরম অদক্ষতার কারণেই ঈদের আগে-পরে ট্রেনের এমন সিডিউলের মহাবিপর্যয় ঘটেছে। রেলওয়ে কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতা ও তদারকি না থাকাসহ একই লাইনে তিনটি বিরতিহীন ট্রেন চালু করার ফলেই এই সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এরই মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে বদলি করা হয়। তবে আরেকটি সূত্র বলছে, শহিদুল ইসলামকে অতিরিক্ত ডিজি করে বদলি করা হয়েছে। আজ তিনি সেই পদে যোগদানও করেছেন ঢাকায়।
এভি-১ (বি আর পশ্চিম)