পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রীসহ ফাস্টফুড বর্জনের আহ্বান করলেন রাষ্ট্রপতি ।

আভা ডেস্কঃ পরিবেশ বাঁচাতে পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ফাস্টফুড জাতীয় খাবার পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে বলেন তিনি।

বুধবার পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান বিশ^বিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পলিথিন এবং প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশ রক্ষার্থে এসব পণ্য বাজারজাত বন্ধ করা উচিৎ।’ এ সময় বার্গার, কোল্ড ড্রিংকসহ সকল ফাস্টফুড পরিহার করে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বাচাঁতে শিক্ষার্থীদের সামাজিক আন্দোলন করার আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে না, তাদের চিন্তার প্রসারতা বাড়ায়। গবেষণার মাধ্যমে সৃষ্টি করে নতুন জ্ঞানের যা যুগের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। একবিংশ শতাব্দী তথ্য প্রযুক্তির যুগ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই। সময়ের সঙ্গে যুগের চাহিদা কে ধারণ করে বর্তমানে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বড় একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা। কারণ গুণগত শিক্ষা ছাড়া শিক্ষা মূল্যহীন। উচ্চশিক্ষা যাতে কোনোভাবেই সার্টিফিকেট সর্বস্ব না হয় তার সম্মিলিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে। জ্ঞানের আদান-প্রদান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সমাবর্তনে সভাপতির ভাষণে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনারা উন্নত জাতি তৈরির মহান কারিগর। আপনাদের হতে হবে সত্যান্বেষী। দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে নৈতিকভাবে বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী। দেশের কল্যাণে আপনারা হবেন আলোর দিশারী জ্ঞানের ফেরিওয়ালা। শিক্ষার্থীরা আপনাদের আদর্শ অনুসরণ করবে, যার প্রভাব পড়বে তার কর্মজীবনে। তাই আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আপনারা জ্ঞান অর্জন ও বিতরণে নিবেদিত থাকবেন জাতি তা প্রত্যাশা করে।’

সমাবর্তনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। এ সময় জেলার পাঁচজন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এবারের সমাবর্তনে প্রায় তিন হাজার গ্র্যাজুয়েট অংশ নিয়েছেন। যার মধ্যে স্নাতক এক হাজার ৯৬৮ জন, স্নাতকোত্তর ৯৫১ জন ও পিএইচডি ৯ জন।

সমাবর্তনে মোট ৬৩ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়েছে। সমাবর্তন শেষে সন্ধ্যায় উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ২০০৮ সালের ক্লোজআপ ওয়ান তারকা “সানিয়া সুলতানা লিজা” ও ব্যান্ড দল “জলের গান”।

Next Post

রাবি সায়েন্স ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা সভাপতি মাহদি হাসান, সম্পাদক ইশতেহার ।

বুধ ফেব্রু. ৫ , ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি হয়েছেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহদি হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতেহার আলী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ক্লাবের পঞ্চম বর্ষপূর্তি এবং নবীনবরণ উদযাপন শেষে নতুন এ কমিটি ঘোষণা করেন ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক তারিকুল হাসান। আগামী একবছর দায়িত্ব পালন […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links