পলাশবাড়ীতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর কারখানায় প্রশাসনের অভিযান

পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ- গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির   কারখানায় প্রশাসনের অভিযানে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন। কারখানাটি অবৈধভাবে গড়ে তুলে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নে বাসুদেবপুর (নুরিয়াপাড়া) গ্রামের নজরুল ইসলাম ও তার জামাতা মিজানুর রহমান যৌথভাবে  প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বিশেষ ধরনের চুল্লি বানিয়ে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে আসছিল।স্থানীয় সংবাদিকরা এর আগে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর

২১ নভেম্বর সোমবার  দুপুরে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নে বাসুদেবপুর (নুরিয়াপাড়া) গ্রামে প্রশাসন ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানাটি ভেঙে গুড়িয়ে দেন। এসময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ পলাশবাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তাসহ  উপস্থিত ছিলেন পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান নয়ন, রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসন-ই-মোবারক।

উল্লেখ্য,গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নে বাসুদেবপুর (নুরিয়াপাড়া) গ্রামের নজরুল ইসলাম ও তার জামাতা মিজানুর রহমান যৌথভাবে  প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বিশেষ ধরনের চুল্লি বানিয়ে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে আসছিল। অবৈধ চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি হচ্ছিল কয়লা। এসব চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছিল। নষ্ট হচ্ছিল ফসলি জমি। ফলে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিলেন শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে।পোড়ানোর সময় নির্গত হয় প্রচুর কালো ধোঁয়া। চুল্লির মধ্যে সারিবদ্ধভাবে কাঠ সাজিয়ে একটি মুখ খোলা রেখে অন্য গুলো মাটি ও ইট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হতো। খোলা মুখে আগুন দিয়ে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হতো। ৮ থেকে ১০ দিন পোড়ানোর পর চুলা থেকে কয়লা বের করা হতো। প্রতিটি চুল্লিতে প্রতিবার ২০০ থেকে ৩০০ মণ কাঠ পোড়ানো হতো বলে জানিয়েছেন চুল্লি মালিক নজরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। পোড়ানো কয়লা শীতল করে ব্যবসার উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল।জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই জনবসতি এলাকা ও ফসলি জমি নষ্ট করে এ কাঠ পোড়ানো চুল্লি স্থাপন করা হয়েছিল। লাল মাটি, ইট ও কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে তৈরি করা প্রতিটি চুল্লিতে ৮ থেকে ১০ দিনে ২০০ থেকে ৩০০ মণ কাঠ পোড়ানো হতো। এ ধোঁয়ায় যেমন শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগব্যাধি বাড়ছে তেমনি নষ্ট হচ্ছে বনজ সম্পাদ ও ফসলি জমি। কয়লা তৈরির এই প্রক্রিয়ায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে।

Next Post

রাজশাহীতে কৃষি সহায়তা পাচ্ছেন ৩৮ হাজার কৃষক

মঙ্গল নভে. ২২ , ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধিঃঃ রাজশাহীতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ৩৭ হাজার ৭শ’ জন কৃষককে ৩ কোটি ৫ লাখ ৫১ হাজার ৭৫০ টাকার সার ও বীজ সহায়তা দেবে সরকার। বিশ্বব্যাপী মন্দায় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে এবং চলতি বছরের নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি খাতে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি পুনর্বাসন […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links