নিষিদ্ধ সময়ে কোনভাবেই জলসীমায় ইলিশ আহরণ করতে দেওয়া হবে না ।

আভা ডেস্কঃ প্রজনন বাড়াতে ১৪ অক্টোবর (বুধবার) থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ ধরা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘নিষিদ্ধকালে কোনভাবেই দেশের জলসীমায় ইলিশ আহরণের অবৈধ প্রচেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না। এসময়ের মধ্যে প্রজনন ক্ষেত্রে কোনভাবেই মা ইলিশ ধরা যাবে না।

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০ বাস্তবায়ন উপলক্ষে সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ ইমদাদুল হক, সুবোল বোস মনি ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ থাকতে পারে এমন নদীতে কোনো নৌকাকে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না। নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক উপায়ে মনিটর করা হবে যেন কোনো নৌকা বা জাহাজ ইলিশ ধরতে না পারে। এমনকি বিদেশ থেকে কোনো মাছ ধরার যান্ত্রিক নৌযান এলে সেটাকেও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আটক করা হবে।

‘নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ৩৬ জেলার ১৫২ উপজেলায় আমাদের কর্মসূচি থাকবে। যারা ইলিশ আহরণ বা বিক্রয় করতে পারবেন না তাদের আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। যাতে মৎস্যজীবী, মৎস্য আহরণকারী বা এ প্রক্রিয়ায় জড়িতে একজন মানুষও খাবারের সংকটে না থাকে। এবছর আমরা সশরীরে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডসহ অন্যান্যদের সঙ্গে মাঠে থাকবো, যাতে ইলিশ উৎপাদনের সাফল্য কোনভাবে ব্যাহত না হয়।

ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বরফকল খুলতে দেওয়া হবে না বলেও জানান মন্ত্রী।

ইলিশের প্রাচুর্য, স্বাদ ও সহজলভ্যতার বাংলাদেশকে আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ বছর বিশ্বে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৮০ ভাগের বেশি বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়েছে। ইলিশের আকার ও স্বাদ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো।

‘ইলিশ একটা সময় দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছিল, সেই ইলিশ এখন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থা, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, মাঠ প্রশাসন সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মা ইলিশ যাতে ধরতে না পারে, জাটকা নিধন যাতে বন্ধ হয়, এমনকি কৌশলগতভাবে যাতে কোনভাবে ইলিশের প্রজননক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি— জানান মন্ত্রী।

সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে এবছর ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। আমরা চাই ইলিশ এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছাবে, যাতে আমাদের সব মানুষ ইলিশ খেতে পারে। ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত ইলিশ উৎপাদন হবার পর আমরা বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানির চিন্তা করবো। এ মুহূর্তে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানির কথা আমরা ভাবছি না। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে আমাদের ইলিশের উৎপাদন ও সফলতা এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে যেদিন ইলিশ রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে আমরা সক্ষম হবো।

Next Post

আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ।

সোম অক্টো. ১২ , ২০২০
চারঘাট প্রতিনিধিঃ পররাষ্ট প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম এমপি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। কোন অবস্থায় যেন আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন না ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সোমবার সন্ধ্যার আগে চারঘাট উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় তিনি একথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links