নন্দীগ্রামে মরিচ চাষে কৃষকের চোখে মুখে স্বপ্নের হাসি

নন্দীগ্রাম থেকে আব্দুর রউফ উজ্জলঃ কৃষি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার নন্দীগ্রামে মরিচ চাষে কৃষকের চোখে মুখে স্বপ্নের হাসি। উপজেলায় এ বছর বাম্পার ফলনের আশায় মরিচ ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে মরিচ চাষিরা। বিগত বছরের তুলনায় এবছর এ উপজেলায় মরিচ চাষে অনেকাংশে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।

মরিচ ক্ষেতে মরিচের গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা। উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের তেঘরী মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা মরিচ ক্ষেতের আগাছা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি গাছে খুঁটি বাধাসহ নানা কাছে ব্যস্ত। নন্দীগ্রাম উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের আইলপুনিয়া গ্রামের মরিচ চাষী আফজাল হোসেন এর ছেলে আবু তাহের এবার তার নিজস্ব ৫ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে মরিচ উৎপাদনে সম্ভাব্য খরচ প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা। একই গ্রামের নজিবুল্লাহ মজনু তার আড়াই বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, মরিচ চাষ একটি ব্যয়বহুল আবাদ। প্রায় সময় মরিচ ক্ষেতে মরিচ গাছের পরিচর্যা করতে হয়। কীট-পতঙ্গের আক্রমণ থেকে মরিচ গাছকে রক্ষার জন্য প্রতি এক সপ্তাহ পর পর বালাইনাশক এবং পুষ্ঠ ও ভালো মরিচ পাওয়ার জন্য ভিটামিন পাউডার  প্রয়োগ করতে হয়।

তিনি আরো বলেন, গত বছর দেশীয় ও হাইব্রীড মরিচ চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এবছর দ্বিগুন হারে কৃষক মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েছে।

এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি সসম্প্রসারণ কর্মকর্তা অপূর্ব ভট্টাচার্য্য’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এবছর নন্দীগ্রাম উপজেলায় প্রায় ২শত ৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। যার সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ শত মেট্রিক টন। তিনি আরো বলেন, মরিচ গাছের গোড়ায় যেন কোনভাবেই পানি জমতে না পারে সে বিষয়ে আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে মরিচ চাষীদের সঠিক সময়ে মরিচ ক্ষেতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করছি। এছাড়াও প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ মরিচ চাষীদের গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করছে এবং সেই লক্ষে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি এ বছর মরিচ চাষীরা বাজারে মরিচ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

Next Post

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের পর খুলবে বিশ্ববিদ্যালয়

মঙ্গল সেপ্টে. ১৪ , ২০২১
আভা ডেস্কঃ আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের জন্য রেজিস্ট্রেশন কাজ শেষ করা হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু ও আবাসন হল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন ও ক্লাসে পাঠদান শুরু করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links