আভা ডেস্কঃ দেশের অভিবাসন নীতিকে ঢেলে সাজাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার সকালেই হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেন থেকে এ সংক্রান্ত এক ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, বর্তমান গ্রিন কার্ড ব্যবস্থা বদলে নতুন ‘মেধা ও পয়েন্টভিত্তিক’ অভিবাসন নীতি চালু করবেন।
নতুন এ ভিসার নাম হবে ‘বিল্ড আমেরিকা’ ভিসা। এক্ষেত্রে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশি কর্মীদের কোটা ১২ শতাংশ বাড়িয়ে ৫৭ শতাংশ করবেন।
অনেক দিন আগেই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আমেরিকার অভিবাসন নীতিতে এবার মেধা ও যোগ্যতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। আগে যেমন পারিবারিক সংযোগকে গুরুত্ব দেয়া হতো, তা থেকে সরে এসে বিদেশি নাগরিকদের আমেরিকায় থাকার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হবে বেশি ডিগ্রিধারী দক্ষ পেশাদারদের। যোগ্যতার ভিত্তিতে এই নীতিকে দেখার কথা প্রথম ভেবেছিলেন ট্রাম্পের জামাই জ্যারেড কুশনার।
সেই লক্ষ্যে অভিবাসনের নয়া পরিকল্পনায় গুরুত্ব দেয়া হয় সীমান্ত সুরক্ষায়। গ্রিন কার্ড দেয়ার প্রক্রিয়াও নতুন করে সাজানো হবে। এতে দক্ষ বিদেশি নাগরিকরা সহজে অভিবাসনের সুবিধা পেতে পারেন। এখনকার নিয়মে ৬৬ শতাংশ গ্রিন কার্ড দেয়া হয় পারিবারিক সংযোগ দেখে। দক্ষতার নিরিখে এখন গ্রিন কার্ড পান ১২ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসন এটাই পাল্টাতে চাইছে।
এখন প্রতি বছর ১১ লাখ গ্রিন কার্ড দেয়া হয়। নয়া নীতিতে অর্ধেকেরও বেশি গ্রিন কার্ড দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে শুধু দক্ষতা বা যোগ্যতার ভিত্তিতে। যদি সেটা হয়, তা হলে এইচ ওয়ান বি ভিসায় আসা প্রবাসী ভারতীয়দের একটা বড় অংশ উপকৃত হবেন। যাদের অনেকেই এক দশকেরও বেশি সময় অপেক্ষা করেও গ্রিন কার্ড হাতে পাননি।
তবে বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে ট্রাম্প সরকারকে। অভিবাসন নীতিতে এমনিতেই দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস। ট্রাম্প যদি রিপাবলিকানদের বোঝাতেও পারেন, বিরোধী ডেমোক্র্যাট হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার কখনই ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে দেবেন না। যে বিষয়টি মাথায় রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনেরও।
তাই ২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই বিষয়টিকেই নজরে রেখে এগোতে চান ট্রাম্প। প্রশাসনের এক শীর্ষস্থানীয় অফিসার এমন মন্তব্যই করেছেন। শুমারের কথায়, ‘অভিবাসন নিয়ে নয়া নীতির বিস্তারিত প্রস্তাব ডেমোক্র্যাটদের সামনে রাখা হবে। তারা যদি এতে মাথা দিতে না চায়, এটা নির্বাচনের মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। আর যদি তারা কথা বলতে চায়, তা হলে আপস আলোচনা এগোবে।’
যুগান্তর